নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা একুশের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোলিং এজেন্ট শেখ সুফিয়ান। ফলে সুপ্রিম রায়ে এই নেতা বেশ কিছুটা স্বস্তি পেলেন। তবে কোন শর্তে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। একুশের ভোট চলাকালীন সময়ে ৩ মে নন্দীগ্রামে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি। পরে ১৩ মে তাঁর মৃত্যু হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এর পর কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় তদন্তে নামে সিবিআই। সেই খুনের ঘটনাতেই নাম জড়িয়েছিল সেখ সুফিয়ানের। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল জেরা করার জন্য। কিন্তু সুফিয়ান তা ঠেকাতে প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। যদিও তা মঞ্জুর হয়নি। তার জেরে শীর্ষ আদালতে যান সুফিয়ান। বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি এএস ওকার ডিভিশন বেঞ্চে চলছিল সেই মামলার শুনানি। গত সপ্তাহে সেই মামলার রায়দান স্থগিত রাখলেও এদিন বেঞ্চ শর্ত সাপেক্ষে সুফিয়ানকে জামিন দিয়েছেন।
সুফিয়ান অবশ্য আগে থেকেই জানিয়েছিলেন দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় তিনি বিন্দুমাত্র জড়িত নন। এই বিশয়ে তিনি কিছু জানেন না। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। এমনকি তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশেই সিবিআই তাঁকে এই মামলায় জড়িয়েছে। যদিও সুফিয়ানের এই দাবি মানতে নারাজ সিবিআই। তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টেও তাই সুফিয়ানের জামিনের আবেদনের বিরোধীতা করেছিলেন। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্ট সুফিয়ানের জামিন মঞ্জুর হওয়ায় অনেকটাই ধাক্কা খেল সিবিআই, বিজেপি ও শুভেন্দু শিবির। সূত্রে জানা গিয়েছে শীর্ষ আদালত সুফিয়ানকে জামিন দিলেও সিবিআই-কে তদন্ত চালিয়ে যেতেই বলেছে। এমনকি সুফিয়ানকে জেরা করার বিষয়েও কোনও আপত্তি জানায়নি শীর্ষ আদালত। সম্ভবত জেরা করার জন্য অন্তত এক সপ্তাহ আগে সুফিয়ানকে নোটিস পাঠাবার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে সুফিয়ানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছাড়া সুফিয়ানকে যেমন সিবিআই গ্রেফতার করতে পারবে না তেমনি জামিন বজায় রাখতে সিবিআইয়ের ডাকে জেরার মুখোমুখি হওয়ার জন্য সুফিয়ানকেও সহযোগিতা করতে হবে।