নিজস্ব প্রতিনিধি: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ কী এবার খারিজ হতে চলেছে! এই প্রশ্নটাই এবার উঠে গেল সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন মুকুল রায়। ভোটের পর তিনি ফের তাঁর পুরানো দল তৃণমূলে যোগ দেন। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় বিজেপি। গত ১৭ জুন মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানিয়ে বাংলার বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরই মধ্যে মুকুলকে পিএসি চেয়ারম্যান করা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন নদিয়া জেলার কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়। সেই মামলারই এদিন শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই এদিন দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুকুল রায়ের দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে।
শীর্ষ আদালতের এই অবস্থানের দরুন কিছুটা হলেও চাপে পড়ে গিয়েছেন মুকুল। বঙ্গ বিধানসভার অধ্যক্ষ তাঁর পদ বাতিল করলে, বিবাদের ইতি পড়ে যাবে এখানেই। নাহলে শীর্ষ আদালতই হয়তো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে নেবে। আইনজীবী মহলের ধারনা মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের সম্ভাবনাই কার্যত জোরাল হলে এদিনের সুপ্রিম নির্দেশে। একই সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সম্ভাবনাও তৈরি হয়ে গেল। সেক্ষেত্রে মুকুলই তৃণমূলের টিকিটে আবারও সেখানে প্রার্থী হবেন কিনা তা সময়ই বলবে। তবে এই ধরনের কোনও সম্ভাবনা তৈরি হলে মুকুলের বিরুদ্ধে বিজেপি জয়ী হলেও উপনির্বাচনে বিজেপি যে জয়ের মুখ দেখবে না সেটা হলফ করেই বলা যায়। একই সঙ্গে বঙ্গ বিধানসভাতে তাঁদের বিধায়ক সংখ্যাও যে কমবে সেটাও সত্যি। মুকুলকে ঘিরে এদিনের সুপ্রিম নির্দেশে তৃণমূল অবশ্য বিন্দুমাত্র চিহ্নিত নয়। কেননা তাঁরা আত্মবিশ্বাসী কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হলে সেখানে ঘাসফুলই ফুটবে এবার। কিন্তু চাপ বেড়ে গেল অধিকারী পরিবারে। কেননা সুপ্রিম রায়কে হাতিয়ার করেই এবার পাল্টা শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য উঠেপড়ে লাগবে ঘাসফুল শিবির।