নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: ২৪ ঘণ্টাও হয়নি তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করছিল বঙ্গ বিজেপি। এরমধ্যেই দ্বিতীয়বার বিস্ফোরক দাবি করলেন বহিস্কৃত বিজেপির হাওড়া সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহা। এবার তাঁর নিশানায় দলেরই কোনও শীর্ষ নেতা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও তিনি অভিযোগ করলেন, ‘রাজ্যের এক শীর্ষ নেতা বলায় সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলেছিলাম। সেই নেতারাই আমাকে বলির পাঁঠা করল’। তবে ওই নেতার নাম এদিন তিনি প্রকাশ্যে আনেননি। উল্লেখ্য, গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দল থেকে বহিস্কৃত হয়েছিলেন সুরজিৎ। তিনি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে কার্যত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে ‘চোর’ বলেছিলেন। এও বলেছিলেন, শুভেন্দুর কাছ থেকে তিনি সততার সার্টিফিকেট নেবেন না।
বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বহিস্কৃত হাওড়া সদর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুরজিৎ সাহার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। যার জেরে চরম অস্বস্তিতে পদ্ম শিবির। বৃহস্পতিবার সকালেই দিলীপ ঘোষ কার্যত স্বীকার করে নেন, শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির অন্দরেই অসন্তোষ রয়েছে। পাশাপাশি তিনি সুরজিতের পাশেও দাঁড়াননি। তিনি বলেন, কেউ শৃঙ্খলা ভাঙলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। দলের পক্ষে এটাই যুক্তিসঙ্গত কাজ। দল একটা নিয়মশৃঙ্খলার মধ্যে কাজ করে। সুরজিৎ সাহা দিলীপ ঘোষ ঘনিষ্ট নেতা বলেই হাওড়ায় পরিচিত। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, কাকে উদ্দেশ্য করে সুরজিৎ এই বিস্ফোরক দাবি করলেন? কার কথায় তিনি শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে তুমুল আক্রমণ শানিয়েছিলেন। এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।