নিজস্ব প্রতিনিধি: একদা খাসতালুকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে ঘুরে দাঁড়াতে দাপুটে নেতা সুশান্ত ঘোষকেই জেলা সম্পাদক পদে বেছে নিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিআইএম নেতারা। বৃহস্পতিবার ডেবরায় দলের জেলা সম্মেলনে টানটান উত্তেজনার মধ্যে হওয়া ভোটাভুটিতে জেলা সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন একসময়ে কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত নেতা। ৬৬ জন জেলা কমিটির সদস্যের মধ্যে ৪১ জনই সুশান্তবাবুর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। সূত্রের খবর, বিতর্কিত এবং নানা অভিযোগে অভিযুক্ত বাম জমানার দাপুটে মন্ত্রীকে নিজের জেলার সম্পাদক হিসেবে চাননি সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। কিন্তু তাঁর মতামতকে গুরুত্বই দেননি জেলা কমিটির সদস্যরা।
বাম জমানায় পশ্চিম মেদিনীপুর ছিল সিপিআইএমের দুর্গ। কিন্তু ২০০৯ সালের পর থেকেই সেই দুর্গের ভিত আলগা হতে শুরু করে। আর ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে দলের সংগঠন। একসময়ে জেলার দাপুটে নেতা সুশান্ত ঘোষকে বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে জেলেও যেতে হয়। যদিও দীর্ঘদিন জেল খাটার পরে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
জেলা সিপিআইএমের অভ্যন্তরীণ সমীকরণে বরাবরই বিপরীত শিবিরে অবস্থান ছিল দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও সুশান্ত ঘোষের। এবারের জেলা সম্মেলনে জেলা সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ছিলেন তিনজন। তাঁরা হলেন সুশান্ত ঘোষ, তাপস সিনহা ও অশোক সাঁতরা। সিপিআইএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক দীপক সরকার ও তাঁর ঘনিষ্ঠরা খোলাখুলিভাবেই সুশান্ত ঘোষের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও বিদায়ী সম্পাদক তরুণ রায়ের সমর্থন ছিল যুব নেতা তাপস সিনহার দিকে। এছাড়া ঘাটালের নেতা অশোক সাঁতরাকেও চেয়েছিলেন জেলা কমিটির একাংশ।
এদিন জেলা সম্পাদক পদে ভোটাভুটিতে জিতে যান সুশান্ত ঘোষ। ৬৬ জন জেলা কমিটির সদস্যের মধ্যে ৪১ জনই তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ২১ জন সুশান্ত ঘোষের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন এবং তিনজন ভোটে অংশ নেননি।