নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০০৭-এর ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ মাইতি, শেখ সেলিম ও ভরত মণ্ডলের। সেই থেকে আজকের দিনটি ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিনও তৃণমূলের তরফে নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়া ব্রিজের কাছে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আগে তৃণমূলের তরফে এই সব অনুষ্ঠানের আয়োজন করতেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকে নন্দীগ্রামে বিজেপি ব্যানারে পৃথক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও নন্দীগ্রামের গণআন্দোলনের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী ওতঃপ্রত ভাবে জড়িত থাকলেও বিজেপি ছিঁটেফোঁটাও জড়িত ছিল না কোনও কালেই। এদিন ভাঙাবেড়া শহিদ মিনারে বিজেপির তরফে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সেখানেই যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ভাঙাবেড়া শহিদ মিনারে সভা করতে গিয়ে তৃণমূলকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শুভেন্দু। পাশাপাশি বিজেপি অনুষ্ঠানে কোভিডবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগও উঠেছে। সেখানে শারীরিক দূরত্ব যেমন না মানার অভিযোগ উঠেছে তেমনি সেখানে উপস্থিত নেতা থেকে কর্মী সমর্থক কারোর মুখেই মাস্কের দেখাও মেলেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে শুভেন্দু এদিন জানিয়েছেন, তিনি কোনও বিক্ষোভের মুখে পড়েননি। সভায় আসার পথে তৃণমূলকর্মিরা তাঁকে কটুক্তি করেছে। জানিয়েছেন, ‘গাড়িতে করে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে যাওয়ার সময় আমাকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করা হয়েছে। তৃণমূল গতবারও নোংরামো করে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করে, লাভ হয়নি। এবারেও করল, তাতে লাভও কিছু হবে না।’ তবে শুভেন্দুর এই অভিযোগ খারিজ করেছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।