নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতি বছর বিশেষ মর্যাদায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয় রবীন্দ্র জয়ন্তী। এবছরও হলো তবে তাতে কাটছাঁট হলো। ‘প্রতীচী’ জমি বিতর্কের জেরেই না কি কাঁচি চালানো হয়েছে অনুষ্ঠানে! বিশ্বভারতী’র এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে রবীন্দ্রপ্রেমীদের মধ্যে।
মঙ্গলবার গৌড়প্রাঙ্গণ, বৈতালিক, উদয়নে অনুষ্ঠান করা হয়। তবে বাদ গিয়েছে মাধবীবিতানের অনুষ্ঠানসূচি। রবি ঠাকুরের (RABINDRANATH TAGORE) ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্য পরিবেশিত হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। তবে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে দিন উদযাপন করা শুরু হয় রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং বৈদিক মন্ত্র পাঠ দিয়ে।
উল্লেখ্য, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং ভারতরত্ন অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র ১৩ ডেসিমেল জায়গা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। উপাচার্যের ইচ্ছে, ‘উচ্ছেদ’। তবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বিজেপি ঘনিষ্ঠ। উপাচার্য বারবার অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করেছেন। অভিযোগ, চলিয়েছেন স্বেচ্ছাচার। রাজ্য-দেশ তথা আন্তর্জাতিক মহলেও সমালোচনা হচ্ছে তাঁকে নিয়ে। নোবেলজয়ীর দাবি, কেন্দ্রের রাজনীতিকে তিনি নীতিগতভাবে পছন্দ করেন না ও সমালোচনা করেন বলেই এই আক্রমণ।
প্রশ্ন, ২৫ বৈশাখ এমন কী হলো যার জেরে অনুষ্ঠানে কাঁচি চালাতে হলো? রবীন্দ্রপ্রেমীরা সেই উত্তর চান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে।