নিজস্ব প্রতিনিধি: মাছে ভাতে থাকা বাঙালির রান্নাঘর পিঁয়াজ(Onion) ছাড়া কার্যত অচল। তবে সেই পিঁয়াজে হাত দিলেই লাগছে ছ্যাঁকা। কেননা পিঁয়াজের দাম একশো ছুঁই ছুঁই। বাজারে গেলেই চোখে পড়বে, কানে আসবে, কেউ হাঁকছে ৭০ টাকা কেজি, কেউ হাঁকছে ৮০ টাকা। আবার কোনও কোনও বাজারে(Market) ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে পিঁয়াজ। স্বাভাবিক ভাবেই এখন বাজারে গিয়ে নিত্যদিন পিঁয়াজেই হাত পুড়ছে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্তের। তাই আর চুপ করে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতা ও উত্তর শহরতলির একের পর এক বাজারে হানা দিল রাজ্যের Task Force। নাগেরবাজার, বাগুইআটি সহ বিভিন্ন বাজারে হানা দিলেন তাঁরা।
এদিন দোকানে দোকানে ঘুরে পেঁয়াজ, আলু, আদা রসুন কোথায় কত দামে(Vegetable Market Price) বিক্রি হচ্ছে তার খোঁজ নেন Task Force’র প্রতিনিধিরা। দমদম, নাগেরবাজার থেকে শুরু করে বাগুইআটি পর্যন্ত সব বাজার ঘুরে দেখেন তাঁরা। স্থানীয় থানাকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে বাজারে অভিযান চালান তাঁরা। হানা দিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরে পিঁয়াজ সহ আলু, আদা, রসুন দোকানদাররা কত দাম কিনছে কত দামে বিক্রি করছে তার খোঁজ নেন। পাশাপাশি সব্জী কত বিক্রি হচ্ছে তাও জানতে চান তাঁরা। তবে সব থেকে বেশি তাঁরা জোর দেন পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিতে। এত বেশি দামে যাতে পিঁয়াজ বিক্রি না করা হয়, সে ব্যাপারে তাঁরা বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেন। শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আগামী দিনে পিঁয়াজের দাম কমার আশ্বাস দেন তাঁরা।
Task Force’র তরফে রবীন্দ্রনাথ কোলে জানান, ‘বাংলায় পিঁয়াজ উৎপন্ন হয় না। মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে আনতে হয়। নাসিকে ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট করছে, ফলে একটা সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এবছর কেন্দ্রীয় সরকার কো অপারেটিভ-এর মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে পিঁয়াজ কিনে নিয়েছে। সেই পিঁয়াজ সরকার দিল্লির পাইকারি বাজারে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছে আর পশ্চিমবঙ্গে ৫০ টাকা দরে। তাই দাম বেড়েছে। আপাতত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নজরদারি চলছে। বিষয়টি রাজ্যের মুখ্যসচিব ও সরকারের অন্যান্য আধিকারিকদের জানানো হবে। আমরা চাই এই বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলুক রাজ্য সরকার। শহরের পাশাপাশি জেলাগুলিতেও নজরদারি চলবে। আশা করছি আগামি ১০-১৫ দিনের মধ্যেই পিঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’