নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশভাগের(Partition of India) পাশাপাশি ৪৭’র স্বাধীনতার প্রাকলগ্নে ভাগ হয়ে গিয়েছিল দুই বাংলাই। সেই দেশভাগের সময়েই ওপার বাংলা(Bangladesh) ছেড়ে দলে দলে হিন্দু তাঁতীরা চলে আসেন এপার বাংলায়(West Bengal)। সঙ্গে নিয়ে আসেন টাঙাইল শাড়ি(Tangail Saree) বোনার ঐতিহ্যই। কার্যত সেই সময় থেকেই নদিয়ার(Nadia) বুকে টাঙাইল শাড়ি বুনে চলেছেন শান্তিপুরের(Shantipur) তাঁতীরা। মূলত ফুলিয়াতে(Fhulia) তাঁদের বসবাস। সেই শাড়ি কিছুদিন আগেই পেয়ে গিয়েছে Geographical Indication Right বা GI Tag। সেটাও আবার এসেছে বাংলার ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের হাত ধরেই। কেননা মুখ্যমন্ত্রী বাংলার নিজস্ব উৎপাদিত সামগ্রীগুলির বিশ্বব্যাপী বিপণণ এবং তার লাভের কড়ি সরাসরি উৎপাদকদের হাতে পৌঁছে দিতে একের পর এক সামগ্রীকে GI Tag’র আওতায় আনতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সূত্রে সাফল্যও আসছে। কিন্তু এবার টাঙাইল শাড়ির GI Tag পাওয়া নিয়ে ট্যুইট(Tweet) করে পাল্টা আক্রমণের মুখে পড়লেন তসলিমা নাসরিন(Taslima Nasrin)।
গতকাল অর্থাৎ ৫ ফেব্রুয়ারি তসলিমা ট্যুইট করে প্রশ্ন তোলেন টাঙাইল শাড়ির GI Tag পাওয়া নিয়ে। লেখেন, ‘ভারত Geographical Indication Right বা GI রাইট পেল বাংলাদেশের জনপ্রিয় টাঙ্গাইল শাড়ির জন্য। টাঙাইল শাড়ি বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটা নিজস্ব অঙ্গ। দেশভাগের পরে বহু তাঁতি টাঙাইল থেকে ভারতে চলে গিয়েছেন। কিন্তু টাঙাইল শাড়ির জন্য ভারতের এই GI রাইট পাওয়াটা কী ঠিক হল?’ তসলিমার সেই প্রশ্নকেই পাল্টা নিশানা বানিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের কেউ লেখেন, ‘বাংলাদেশে অবস্থিত হলেও, টাঙ্গাইল শাড়ি বোনে যে তাঁতিরা তাঁদের ৮০ শতাংশই পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছে এবং এখানেই টাঙাইল শাড়ি বুনছেন। তাহলে স্বাভাবিক ভাবেই ভারত এই শাড়ির জন্য GI রাইট দাবি করতেই পারে।’
অপর একজন লিখেছেন, ‘অধিকাংশ তাঁতিকেই সেই সময় এখানে চলে আসতে হয়। বাংলাদেশের জায়গাটা খ্যাত হয়েছিল ওঁদের কাজেই। ওঁরাই যখন ওখানে থাকতে পারেননি, নিজেদের সঙ্গে নিজেদের সংস্কৃতিকে এখানে নিয়ে এসেছেন তাহলে ভারতের GI রাইট পেতে সমস্যা কোথায়?’ কেউ আবার লেখেন, ‘যদি বাংলাদেশে এখনও বিপুল পরিমাণ টাঙ্গাইল শাড়ির উৎপাদন হয় তাহলে ওরা এই GI রাইট দাবি করতে পারে, নইলে যদি এই শাড়ি এখন কেবলই ভারতে উৎপাদন করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে এই অধিকার ভারতের পাওয়া উচিত।’