নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশকর্মীর এলোপাথাড়ি গুলি চালনায় শুক্রবার পার্কসার্কাসে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার বাসিন্দা রিমা সিংহ নামের এক তরুণীর। এবার ওই তরুণীর পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিমার মা জানান, শনিবার তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য করেছেন বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে রিমার ভাইকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রিমা সিংহের মায়ের সঙ্গে শনিবার সকালে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিমার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন ফোন করে মুখ্যমন্ত্রী মৃত তরুণীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা সাহায্য করার কথা বলেন। একইসঙ্গে রিমার ভাইয়ের বায়োডাটা চেয়ে পাঠান তিনি। তার পড়াশোনা কতদূর তা জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে তাঁকে একটি চাকরিতে নিয়োগ করা যায় কি না তা দেখা হবে বলে জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। একইসঙ্গে এদিন রিমার বাবার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি অসুস্থ বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়। এর পর রিমার বাবার রোজগারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব দেন বাড়ির কাছে তাঁকে একটি দোকান ঘর তৈরি করে দেওয়ার জন্য। মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এমন মানবিক আশ্বাস পেয়ে কিছুটা বাঁচার আলো দেখছে পরিবারটি। কারণ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে মেয়ের শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় রিমার মা তাঁর কাছে আর্জি জানান, আগামীতে এমন কোনও ব্যক্তিকে পুলিশের চাকরিতে যাতে নিয়োগ না করা হয়, যার জন্য এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী সেই কথা শুনেছেন বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য শুক্রবার দুপুরে পার্কসার্কাসে বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশনের কাছে এক নিরাপত্তারক্ষীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার বাসিন্দা রিমা সিংহ নামের ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণীর। চোদুপ লেপচা নামের ওই পুলিশকর্মী আচমকা এলোপাথাড়ি ৮ থেকে ১০ রাউণ্ড গুলি চালায় বলে স্থানীয়রা জানান। স্কুটারে যাত্রাকালীন সময়ে সেই গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রিমা সিংহ। গুলিবিদ্ধ হন বসির আলম নুমানি এবং মহম্মদ সরফরাজ নামে দুই ব্যক্তি। এর পর চোদুপ নিজের বন্দুক দিয়ে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হন। এসএসকেএম হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ বসির আলম নুমানির বর্তমানে চিকিৎসা চলছে ।