এই মুহূর্তে




বহু পুরানো প্রথা ভেঙে লোডশেডিং ছাড়াই হল চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা

নিজস্ব প্রতিনিধি: সময় বদলাচ্ছে! চন্দননগরকে আলোর শহর বলা হলেও এতদিন পর্যন্ত শোভাযাত্রার সময় গোটা এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকত সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য। তবে এই প্রথম জগদ্ধাত্রীপুজোর শেষে শোভাযাত্রার দিনে চন্দননগরের কোনও ঘরেই নিভল না আলো। বেশ দীর্ঘ সময়ের জন্য গোটা চন্দননগর ‘শাটডাউন’ হয়ে যেত। প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হত। গোটা শহরবাসীর কাছে এটাই ছিল পুরানো অভ্যাস। দশমী এবং একাদশীতে একই ঘটনা ঘটল। তবে এবার সেই প্রথাতেই এসেছে বদল। জগদ্ধাত্রীপুজোর শোভাযাত্রার সময় বিচ্ছিন্ন হল না বিদ্যুৎ সংযোগ।

জানা গিয়েছে চলতি বছরে শনিবার থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। তবে কোনও জায়গাতেই করা হয়নি পাওয়ার কাট। এই প্রথম এই ঘটনা দেখে অবাক হয়েছেন স্থানীয়রাও। সেই সঙ্গেই এই গরমে দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকার ঝামেলা থেকে মুক্তির স্বাদে খুশি এলাকার মানুষ। বিশেষ করে সমস্যায় পড়তেন আবাসনের বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচার কথা। জানাছেন এতদিন ধরে দুই দিন দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সংযোগ থাকত না, নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হত। তা থেকেই মিলেছে মুক্তি। জলের সমস্যা হত প্রবল। কারণ এই সময়ে প্রতিটি বাড়িতেই থাকত আত্মীয়। তাই জলের চাহিদা থাকত বেশি। তবে এবার সেই সমাধান থেকে মিলেছে মুক্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন বিসর্জন শুরু হলেও সকাল থেকে রয়েছে কারেন্ট।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো চন্দননগরে প্রতিমা মূর্তিগুলির উচ্চতা প্রায় ২০-২৫ ফুট করে হয়। সেই কারণে বিদ্যুতের তারে লেগে বিপদের সম্ভাবনা থাকে প্রবল। কারণ প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় শোভাযাত্রায় হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়। বিসর্জনের সময় বিদ্যুতের ওভারহেড তারে প্রতিমার কোনও অংশ ঠেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকেই বন্ধ রাখা হত বিদ্যুৎ। সেই সমস্যার কথা মাথায় রেখে দুই বছর আগে থেকে মাথার উপরের বদলে মাটির নীচে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিদ্যুতের লাইন। ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেই কাজ সম্প্রতি শেষ হওয়ার কারণেই মিলেছে এই সুফল। মাটির তলা দিয়ে ১১ হাজার কেভির বিদ্যুতের লাইনের প্রায় পুরোটাই গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো উদ্বোধন করার পর রাজ্যের তথ্যসংস্কৃতি দফতরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়ে দিয়েছিলেন ভাসানের দু’দিন লোডশেডিং-এর সম্মুখীন হতে হবে না এলাকাবাসীদের। সেটাই হয়েছে বাস্তবে। এবারে আর কাউকেই কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রে জানা গিয়েছে ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলা বারোয়ারি শোভাযাত্রায় নিয়ে মোট পুজো কমিটির হবে ৭০। নিরঞ্জনের সময় ট্রাকের সংখ্যা হবে ২৪৫। এই ট্রাক-ম্যাটাডোরেই শোভাযাত্রার বাহারি আলো সাজানো হয়। শোভাযাত্রাকে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে ৩০০০ পুলিশ কর্মী থাকবেন বলেই জানিয়েছে চন্দননগর কমিশনারেট। মহিলাদের নিরাপত্তায় থকবে বিশেষ মহিলা পুলিশ। নজ্রদারি চালানো হবে ড্রোনের মধ্যে দিয়েও। অনলাইনে শোভাযাত্রার সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোনাগাছির যৌনকর্মীরা কার্তিক পুজোয় মেতে উঠলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর সঙ্গে

বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে

হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যাওয়া সদ্যোজাত শিশুকে ভাঙড় থেকে উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ, গ্রেফতার ২

জগদ্দলে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির পদ পাইয়ে দিতে ৩০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ RSS নেতার বিরুদ্ধে

অপরিচিতার কাছে শিশু পুত্রকে রেখে ওষুধ কিনতে যান মা, সদ্যোজাতকে নিয়ে উধাও যুবতী

রাজ্য ও ভিন রাজ্যের কয়েকশো বাংলাদেশি হাকিমপুর সীমান্তের পথে, আটক করল বিএসএফ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ