নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার রাতে অন্যান্য দিনের মতো রান্না সেরে মেয়েকে নিয়ে খাটে শুয়ে ছিলেন সুনীতি রায়। লোডশেডিং থাকায় ভাবছিলেন এখন রাতের আহার সারবেন কি না। এমন সময় আচমকাই তার ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে একটি চিতা। লাফ দিয়ে উঠে যায় খাটে। ঘরে রাখা ছাগলও প্রাণ ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। সঙ্গে সঙ্গে চিতাটি ঝাপিয়ে পড়ে ছাগলটির ওপর। দৃশ্য দেখে হাড় হিম হয়ে যায় সুনীতি দেবীর। প্রাণ ভয়ে তিনি এবং তাঁর মেয়েও আর্তচিৎকার জুড়ে দেন। এই পর্যন্ত পড়ে ভাবছেন এটি বোধয় কোনও গল্পকাহিনী। কিন্তু না। বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের উত্তর খালপাড়া এলাকায়।
জলপাইগুড়ি জেলার ক্রান্তি ব্লকের উত্তর খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা অমল রায়ের বাড়িতে শনিবার রাতে চিতাটি ঢুকে পড়ে। আতঙ্কে চিৎকার শুরু করেন সেই সময় বাড়িতে থাকা সুনীতি দেবী এবং তাঁর মেয়ে। তড়িঘড়ি ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। মেয়েকে নিয়ে কোনওরকমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ করে খবর দেওয়া হয় ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশ এসে যোগাযোগ করে কাঠামবাড়ি ফরেস্টের আপাল চাঁদ রেঞ্জ অফিসে। খবর পেয়ে বনকর্মীরা ছুটে আসেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তারা খবর দেন গরুমারা ওয়াইল্ড লাইফ ডিভিশনে। সেখান থেকে ট্রাঙ্কুলাইজিং এক্সপার্ট দের টিম পাঠানো হয়। এরপর তারা ওই বাড়ির টিনের দেওয়াল ফুটো করে ঘুমপাড়ানি বন্দুক ঢুকিয়ে গুলি ছুড়ে চিতাটিকে কাবু করে গরুমারা প্রকৃতি বিক্ষন কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর চিতাটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।