নিজস্ব প্রতিনিধিঃ প্রবল প্রাকৃতিক ত্রাসের মুখে সিকিম। ১০ নং জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে জলের তলায়। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে অবশিষ্ট ভারতের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গের সমতলে ভয়ঙ্কর বেগে নামছে তিস্তা। তিস্তা সেতু দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিমগামী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তাও বন্ধ। ইতিমধ্যেই সিকিমে আটকে বহু পর্যটক। তিস্তা জলপাইগুড়ি জেলার বিস্তীর্ণ অংশ দিয়ে বয়ে চলেছে। শেষে বাংলাদেশের ব্রহ্মপুত্রতে মিশেছে। ফলে পাহাড়ের পাশাপাশি সমতলেও জলের স্রোত বাড়লে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই সিকিমে বন্যার প্রভাবে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি জেলায় পর্যটনের প্রভাব পড়বে। উত্তরবঙ্গেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উপচে পড়ে লোনাক লেক। বিপুল পরিমাণ জল চলে আসে তিস্তা নদীতে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট জলস্তর বেড়েছে তিস্তার। যার জেরেই এই বিপত্তি। শুরু হয়েছে উদ্ধার কাজ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ত্রাস সিকিমে। সেনার তরফে জানা যায়, সিংতামে যে সেনার ছাউনি ছিল সেই ছাউনিতে জল প্রবেশ করে। তিস্তা নদীর জলে তলিয়ে যায় সেনাবাহিনীর ৪১টি গাড়ি। খোঁজ মিলছেনা ২৩ জওয়ানের। তাঁদের খোঁজ চলছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ত্রাস সিকিমে। এখনও বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে।
তিস্তায় হলুদ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। হাই অ্যালার্ট জারি সিকিমে। প্রশাসনের আশঙ্কা, তিস্তার জলস্তর ২৫ থেকে ২৬ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তিস্তার গতিপথের দু’পাশে পড়ছে গাজলডোবা ব্যারাজ, দোমহনি, মেখলিগঞ্জ, হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি শহর। ফলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা এই স্থানগুলিও। জলপাইগুড়ির বেশিরভাগ অংশ দিয়ে তিস্তা প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাও।