নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেই দলের নবীন-প্রবীণ সংঘাত সামনে চলে এসেছে। দলের প্রবীণদের নিশানা করতেও দেখা গিয়েছে দলের কয়েকজন নেতাকে। অথচ সেই সময়ে তিনি চুপ করেই ছিলেন। সবাই তাঁর দিকে আগ্রহের সঙ্গেই তাকিয়ে ছিল যদি এই দ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি কিছু বলেন। এখন সেই দ্বন্দ্ব অনেকটাই থিতিয়ে গিয়েছে। আর সেই মুহুর্তে তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘কোথায় কোনও দ্বন্দ্বের জায়গা নেই। আমাদের মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই। দলে অন্তর্দ্বন্দ্ব, গৃহদাহ বলেও কিছু নেই।’ তিনি বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এদিন তিনি তাঁর সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের(Daimond Harbour) পৈলানে বয়স্ক মানুষদের ভাতা প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেই অনুষ্ঠান থেকেই তিনি এই বার্তা দেন।
এদিন অভিষেক বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সুসংগঠিতভাবে দল চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের মধ্যে কোনও দ্বিমত নেই। তবুও কেউ কেউ বলে বেড়াচ্ছেন দলে নাকি আগুন লেগেছে, দল নাকি ভাগ হয়ে গিয়েছে। আমি স্পষ্ট ভাবেই বলছি শুনুন, দলের মধ্যে কোনও অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই। কোনও গৃহদাহ নেই। তবে আমি বয়স নিয়ে আপত্তি তুলেছিলাম। তাঁর কারণ ৩০ বছর বয়সে যা করা যায় তা ৬০ বছর বয়সে করা যায় না। আমি নিজেও তা পারব না। দল আমাকে যখন যা দায়িত্ব দিয়েছে আমি তা পালন করেছি। ২০২১ সালে সামনে থেকে লড়েছি। ২০২৩ নবজোয়ার করতে বলে বলেছিল করেছি। দল যে কোনও দায়িত্ব দিকে পালন করার চেষ্টা করব। আমাকে দল যেখানে যেতে বলবে আমি যাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা ছবি আর তৃণমূলের পতাকা নিয়ে চলে যাব। আমি বলেছি, বয়স হলে কর্মক্ষমতা কমে । ৭০ বছর হলে আমার মতো এত মাস ধরে নবজোয়ার যাত্রা কেউ করতে পারত। আমি সেই কথাটাই বলেছি। রাস্তায় থাকতে পারবেন না বয়স্করা। এটা নিয়ে দলে কোনও দ্বিমত নেই। আমার বয়স কম বলে রাস্তায় থাকতে পেরেছি। এটা সত্যি কথা মানতে হবে।’
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘দল আমাকে প্রার্থী করলে আমি আবারও এই ডায়মন্ডহারবার থেকেই লড়াই করবো। আমার ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে বেশি অগ্রাধিকার থাকবে। তবে আমি আর দলের কোনও কাজ করব না, এটা আমি কখনও বলিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দল চালাচ্ছঅন। তাঁর পুরনো সাথীরা পাশে রয়েছেন। দল যে দায়িত্ব দেবে, গলা কেটে দিলেও তা আমি পালন করব। ২০২৪ সালের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। লোকসভায় সময় দিতে হবে। তবে দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই লড়াই করবে। ২০২৪ সালে দল আমাকে যা দায়িত্ব দেবে তা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুসংহত ভাবে দল চালাচ্ছেন। আমি তাঁর পাশে সব শক্তি দিয়ে দাঁড়াবো।’