নিজস্ব প্রতিনিধি: পেটের দায়ে বড় দায়। সেই পেটের দায়ের জন্যই বুকে ভয় নিয়েও যেতে হয় দক্ষিণরায়ের ডেরায়। তাই মাঝে মাঝেই খোয়া যায় প্রাণ। ঠিক তেমন ঘটনাই ঘটল রবিবার বসিরহাট রেঞ্জ অফিসের ঝিলার জঙ্গলে। এদিন ভোরে নৌকা চেপে ঝিলার তিন নম্বর জঙ্গলে গিয়েছিলেন কুমিরমারী বাসিন্দা অরবিন্দ বিশ্বাস। সঙ্গী ছিলেন আরও দুজন। উদ্দেশ্যে ছিল কাঁকড়া ধরা। কিন্তু নৌকা থেকে নামতেই অরবিন্দের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ডোরাকাটা। মুহূর্তের মধ্যেই অরবিন্দকে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যায় বাঘটি। গভীর জঙ্গলে বাঘ টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ভয়ে দেখতেই থাকেন বাকি দুই মৎস্যজীবী।
দ্রুত ফিরে এসে পুরো ঘটনা নিকটবর্তী রেঞ্জ অফিসে জানান অপর দুই মৎস্যজীবী। রেঞ্জ অফিসের আধিকারিকরা ছুটে যান ঘটনাস্থলে। চলছে তল্লাশি এখনও। যদিও ওই মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এখনও। খোঁজ চালাচ্ছে বন দফতরের কর্মীরাই। ঘটনার কথা শুনে অরবিন্দের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কারণ বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছিলেন অরবিন্দ। কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের শিকার হয়েছেন একাধিক মৎস্যজীবী। এই ঘটনা আকছাড় ঘটেই থাকে। তবে কখনও কেউ আবার প্রাণপণে লড়াই করে জীবন বাঁচিয়ে ফিরে নিয়ে আসে।