এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বিধাননগর ও চন্দননগর দখলেই থাকবে, আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল

নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামিকাল শনিবার রাজ্যের ৪টি পুরনিগমে ভোটগ্রহণ করা হবে। সেই চারটি পুরনিগমের মধ্যে থাকছে কলকাতার কান ঘেঁষে থাকা বিধাননগর পুরনিগম ও হুগলি জেলার চন্দননগর পুরনিগম। দুটি পুরবোর্ডেই শেষ পুরনির্বাচনে জয়ী হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারেও তাঁরা এই দুই শহরেই পুরবোর্ডের ক্ষমতা ধরে রাখার বিষয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী। একটা সময় চন্দননগর ছিল কংগ্রেসের ঘাঁটি আর বিধাননগরে ছিল বামেদের রাজত্ব। কিন্তু রাজ্য রাজনীতিতে তৃণমূলের উত্থান সেই সমীকরণে ধাক্কা দিয়েছিল। দুই শহরেই ক্ষমতা হারিয়েছিল কংগ্রেস ও বামেরা। কিন্তু সাম্প্রতিক কালে বিজেপির উত্থানে বাম ও কংগ্রেস উভয়েই বড়সড় ধাক্কা খেয়ে গিয়েছে। তৃণমূল বিরোধী সব ভোটই টেনে নিয়েছে বিজেপি। এবারে এই দুই শহরের নির্বাচনে বিজেপি হাজার চেষ্টা চালালেও ক্ষমতা দখলের থেকে যে বহু যোজন দূরে থেকে যাবে সে নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই দুই শহরের বাসিন্দারাই এখন তাকিয়ে আছেন এটা দেখতে যে, বিজেপির কাছ থেকে বাম-কংগ্রেস তাঁদের হারানো জমি পুনঃরুদ্ধার করতে পারে কিনা। একই সঙ্গে বিরোধীরা এই দুই পুরসভায় কীরকম ফল করে সেটা দেখার জন্যও তাঁরা তাকিয়ে থাকবেন।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকেই বিধাননগর পুরসভা এলাকায় বিজেপির রমরমা চোখে পড়ছিল। সেই সময় বিধাননগর পুরনিগম হয়নি। ছিল পুরসভা এলাকা। কিন্তু সেই পুরসভা এলাকার ভোটে ভর দিয়েই বিজেপি বিধাননগর বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়েছিল। ২০১৫ সালে রাজ্য সরকার বিধাননগর পুরসভা এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা এলাকা ও মহিষবাথান-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকা নিয়ে গড়ে তোলে বিধাননগর পুরনিগম এলাকা। সেই বছরই প্রথমবার নির্বাচন হয় বিধাননগর পুরনিগমে। ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৭টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। মেয়র হন সব্যসাচী দত্ত। এর মাঝের প্রায় ৭টি বছরে গঙ্গা দিয়ে অনেক জলই গড়িয়েছে। সব্যসাচী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে একুশের ভোটে প্রার্থী হয়ে হারের মুখ দেখার পরে আবারও তৃণমূলে ফিরেছেন। হয়েছেন এবারের পুরভোটের প্রার্থীও। জিতলে তাঁকেই আবার মেয়র পদে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। তবে ঘটনা এটাই এবারের পুরনির্বাচনে বিধাননগরের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকবেন এটাই দেখতে বিজেপি কটি আসনে জয়ী হয় সেটা দেখতে। নজর থাকবে বাম-কংগ্রেসের দিকেও।

অন্যদিকে চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচন রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্বপূরড়ণ না হলেও হুগলি জেলার শিল্পাঞ্চলের রাজনীতিতে বেশ প্রভাব ফেলে। তৃণমূলের দখলে থাকা এই পুরনিগমে এবারেও যে জোড়াফুলই ক্ষমতায় ফিরবে তা নিয়ে শহরের বাসিন্দারা নিজেরাই বেশ আত্মবিশ্বাসী। আর এখানেই বড় ধাক্কা বিরোধী শিবিরে। কার্যত তাঁদের কাছে সেখানে লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে। সাংগঠনিক ভাবে এবারের পুরনির্বাচনে বামেরা বেশ আশাবাদী। তাঁদের আশা পুরনিগমে তাঁরা ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও বিরোধী আসনে তাঁরাই বসতে চলেছেন। চন্দননগরের মানুষ বিজেপিকে ভোট দেবে না, এমনটাই দাবি তাঁদের। যদিও বিজেপির দাবি, বিরোধী আসনে তাঁরাই বসতে চলেছে। আর দুই তরফের এহেন দাবিকে ঘিরে হাসছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, পুরনিগমের সব আসনে তৃণমূল জয়ী হলে বিরোধী আসনটাই তো আর থাকবে না। যদিও চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচনী ইতিহাস বলছে এই শহর কোনওদিন বিরোধী শূন্য হয়নি। এবারের নির্বাচনে যদি সেটা হয় তাহলে সেটাই হবে শহরের নয়া প্রাপ্তি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

শান্তিপুরে প্রবীণ ও অক্ষম ভোটারদের দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট সংগ্রহ করল কমিশন

ভিন রাজ্যের নিখোঁজ বৃদ্ধকে পরিবারের হাতে পৌঁছে দিল রানাঘাট পুলিশ

বারাসতের টাকি রোডে নার্সিংহোমে এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু, তদন্তে পুলিশ

গঙ্গারামপুরে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করল প্রশাসন

‘মিথ্যা অভিযোগ’, মামলা তুলে নিতে চান সন্দেশখালিতে ‘ধর্ষণের শিকার’ মহিলা

বুধবার শ্রীরামপুরে প্রচারে মুখোমুখি কল্যাণ- দীপ্সিতা, উঠলো স্লোগান, গাইলেন রবীন্দ্র সংগীত

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর