এই মুহূর্তে




মালদায় কংগ্রেসকে ধাক্কা দিল তৃণমূল, জার্সি বদল কালিয়াচকের ৪ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের

Courtesy - Google




নিজস্ব প্রতিনিধি: মালদা জেলা(Malda District) দীর্ঘদিনের কংগ্রেসি দুর্গ হিসাবে পরিচিত ছিল। কেননা দেশের অন্যতম এই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলা থেকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হয়ে রেলমন্ত্রী হয়েছিলেন এ বি এ গণি খান চৌধুরী। কংগ্রেস(INC) ভেঙে তৃণমূলের(TMC) জন্মের পরেও সেই মালদার বুকে কংগ্রেসের প্রভাব প্রতিপত্তিতে বিন্দুমাত্র আঁচ পড়েনি। যার জন্য বার বার তৃণমূলকে মালদা থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। তবে সেই ছবির বদল ঘটে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। জেলার ১২টি আসনের মধ্যে ৪টি আসন বিজেপির দখলে গেলেও বাকি ৮টি আসনই গিয়েছিল তৃণমূলের ঝুলিতে। কংগ্রেসকে জেলা থেকেই কার্যত মুছে যেতে হয়েছিল। সেই নির্বাচনে মোথাবাড়ি বিধানসভা(Mothabari Assembly) কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রথমবার লড়াই করেছিলেন সাবিনা ইয়াসমিন(Sabina Yeasmin)। নির্বাচনে তিনি ৫৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। সেই সাবিনাই এবার ধাক্কা দিলেন কংগ্রেসকে। কালিয়াচক-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ৪জন সদস্যকে তিনি টেনে নিয়েছেন তৃণমূলে।

আরও পড়ুন, বাবুঘাটের শুটআউটের ঘটনায় গ্রেফতার ২, অধরা মূল অভিযুক্ত

সাবিনা তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি দিয়েছিলেন কংগ্রেস থেকেই। ২০০৮ সালে তিনি মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মোথাবাড়ি থেকে কংগ্রেসের টিকিটে প্রার্থী হয়ে ভোটে জেতেন। সেই নির্বাচনে জোট হয়েছিল কংগ্রেস ও তৃণমূলের। ভোটের পরে ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে রাজ্যে নতুন সরকার গড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সরকারের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পান সাবিনা। তিনি বাংলার প্রথম মুসলিম মহিলা মন্ত্রী। কংগ্রেস-তৃণমূলের সেই সরকার বেশি দিন না থাকায় সাবিনাকে ইস্তফা দিয়ে দিতে হয় মন্ত্রীর পদ থেকে। যদিও তৃণমূলের একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সরকার পড়ে যায়নি। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল বামেদের সঙ্গে জোট গড়ে। সেই নির্বাচনে কংগ্রেস রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে আসে। মোথাবাড়ি থেকেও দ্বিতীয়বারের জন্য বিধায়ক হন সাবিনা। কিন্তু পরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের হয়ে প্রাত্থী হন ও ৫৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়ে ফের রাজ্যের মন্ত্রী হয়েছেন।

আরও পড়ুন, সাবিরের পরিবারের পাশে অভিষেক, দিলেন ৩ লক্ষের আর্থিক সাহায্য, মিলবে চাকরিও

সাবিনা বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁরই এলাকায় তৃণমূল কালিয়াচক-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল। তার জেরে সাবিনাকে দলের কাছে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। সেই নির্বাচনে কালিয়াচক-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিতে ২৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৩টি, কংগ্রেস-১১টি এবং বিজেপি-২টি আসন পেয়েছিল। যদিও সেখানে ১৩-৯ ভোটের ব্যবধানে বোর্ড গড়েছিল তৃণমূল। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে এই মোথাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই লিড পেয়েছে কংগ্রেস। গত লোকসভা নির্বাচনে মালদার ২টি লোকসভা কেন্দ্রেই পরাস্ত হয়েছে তৃণমূল। উত্তর মালদা ধরে রেখেছে বিজেপি, আর দক্ষিণ মালদা ধরে রাখে কংগ্রেস। এই অবস্থায় সাবিনা আবারও ধাক্কা দিলেন কংগ্রেসকে। কালিয়াচক-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ৪জন নির্বাচিত কংগ্রেস সদস্যকে তিনি যোগ দেওয়া করিয়েছেন তৃণমূলে। এই ৪ সদস্য হলেন বিউটি মণ্ডল, কল্পনা মণ্ডল, আব্দুল রাজ্জাক ও হাবিবা খাতুন। এর ফলে ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ১৭। অর্থাৎ ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল তৃণমূল কংগ্রেস।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ভাগ্নিকে ধর্ষণে অভিযোগ মামার বিরুদ্ধে, পলাতক অভিযুক্ত

প্রতিবন্ধী ছাত্রীকে হুইল চেয়ার দিয়ে স্কুলে আসতে সাহায্য করলেন প্রধান শিক্ষক, আনন্দে হল ভুরিভোজ

উইনার্স পুলিশ টিম হাজির নিউ বারাকপুরের স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষের কাছে

নিজের স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করার অপরাধে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা বারাসত আদালতের

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট করার অপরাধে গ্রেফতার ১

মালদায় বাথরুমে গৃহবধূর স্নানের ভিডিও তোলার অপরাধে পাকড়াও নির্মাণ শ্রমিক

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর