নিজস্ব প্রতিনিধি: শিশির অধিকারীর পর এবার দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের নির্দেশ অমান্য করে ভোট দেওয়ার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে শিশিরপুত্র দিব্যেন্দু অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
ইতিমধ্যে তৃণমুলের লোকসভার দলনেতা এবং সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শিশির ও দিব্যেন্দুকে চিঠি দিয়েছেন। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁরা দলের নির্দেশ অমান্য করে ভোট দিয়েছে৪ন তা দলের নজরে এসেছে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন সুদীপ।উল্লেখ্য এর আগে শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের জন্য লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে তৃণমূলের তরফে আবেদন জানানো হয়। তার সপক্ষে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তুলে দেওয়া হয়। সেই আবেদনের এখনও শুনানি চলছে। এবার শিশির পুত্র দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে জানাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে চিঠি দিতে চলেছে দল। দিব্যেন্দুর বিরুদ্ধে দলবিরোধী কার্যকলাপের প্রমাণ হিসেবে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার বিষয়টি সামনে আনা হবে। দলের নির্দেশ অমান্য করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচচেন দিব্যেন্দু যে ভোট দিয়েছেন সেটিকে পেশ করা হবে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের কোনও হুইপ চলে না।
প্রসঙ্গত দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সেই অবস্থানের কথা জানিয়ে লোকসভা ও রাজ্যসভার সমস্ত সাংসদকে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। ভোটদানে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুই সাংসদকে চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ। কিন্তু কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এবং তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তৃণমূলের নির্দেশ অমান্য করে শনিবার দিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন। তার জেরেই দলের তরফে এবার তাঁদের সাংসদ পদ খারিজের আবেদন জানাতে চলেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য শনিবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পর শিশির অধিকারীও ও দিব্যেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূলের একাধিক নেতা। তাঁরা দলের নির্দেশ অমান্য করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে তাঁদের ইস্তফা দেওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কুণাল ঘোষ ‘শিশির ও দিব্যেন্দু বিজেপির বন্ধু’ বলে মন্তব্য করেছিলেন।