এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শান্তি ফিরেছে, হোম-স্টে বেড়েছে, ঢল নামছে পর্যটকদের, ভোটে আশাবাদী তৃণমূল

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সে একটা সময় ছিল। যখন দিন দুপুরে লাশ পড়ত। গুমি-বোমার আওয়াজ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। ২০০৪ সালের পর থেকে জঙ্গলমহল(Jungalamahal) উত্তপ্ত হতে শুরু করে। তার কয়েক বছরের মধ্যে গোটা জঙ্গলমহলের রাশ চলে যায় মাওবাদীদের হাতে। সেই সময় ভয়ে ঝাড়গ্রামে(Jhargram) বেড়াতে আসতেন না সাধারণ মানুষ। পর্যটন ব্যবসা(Tourism Business) একবারে ভেঙে পড়ে। অফ সিজনে তো বটেই, ভরা সিজনেও পর্যটকের দেখা মিলত না। অনেক পর্যটন ব্যবসায়ী অন্য পেশায় চলে যান। তৃণমূলের(TMC) জমানায় আস্তে আস্তে সেই ছবি বদলেছে। ২০১১ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পাশাপাশি পর্যটন ব্যবসাও বাড়তে থাকে। কিন্তু তার পরেও উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম থেকে জয়ী হয় বিজেপি। একুশের ভোটে অবশ্য জেলার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেই বাজিমাত করেছে তৃণমূল। এখন ২৪’র ভোট(Loksabha Election 2024) নিয়ে রীতিমত আশাবাদী জোড়াফুল শিবির। কেননা এই সরকারের হাত ধরেই একুশের পরে জেলায় হোম-স্টে(Home Stay) বেড়েছে। একই সঙ্গে আবারও জঙ্গলমহলের বুকে ঢল নামছে পর্যটকদের(Tourists)। শান্তির এই প্রেক্ষাপটই জয়ের রাস্তা গড়ে দেবে, দাবী তৃণমূলের। 

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেই জেলায় বিজেপি ভালো ফল করেছিল। এরপর ঝাড়গ্রামে বিজেপির সংগঠন আরও বাড়তে শুরু করে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম থেকে জিতেও যান বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম। তিনি প্রায় ১২ হাজার ভোটে জেতেন। যদিও একুশের ভোটে জেলার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রই দখল করে তৃণমূল। তারপর থেকেই জেলায় পর্যটন ব্যবসা আরও জোরদার করে তুলতে নজর দেয় রাজ্য সরকার। সেই সুবাদেই ঝাড়গ্রাম জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলির আশেপাশে বা গ্রামগুলিতে হোম স্টে খোলার ওপর জোর দেয় রাজ্য। রাজ্য সরকারের থেকে সহযোগিতা পেয়ে এখন জেলায় প্রায় ১০০’র বেশি হোম-স্টে খুলে গিয়েছে। সেখানে পর্যটকেরা আসছেন, থাকছেন, খাচ্ছেন। আর সেই হোম-স্টে’র মাধ্যমে স্বনির্ভর হচ্ছেন গ্রামের মানুষেরা। তথ্য বলছে, জঙ্গলমহলের বুকে এখন প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার ব্যবসা এই সব হোম-স্টে। আর এই পর্যটন শিল্পের সাফল্যকেই লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে তুলে ধরছে জোড়াফুল শিবির। ইতিমধ্যেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে তারা পর্যটনে সাফল্যের কথা তুলে ধরতে শুরু করেছে তৃণমূল।

ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ঝাড়গ্রামের বুকে রক্তপাত, খুন, অত্যাচারের দিন শেষ। ঝাড়গ্রাম তথা গোটা জঙ্গলমহলে শান্তির পরিবেশ ফিরে এসেছে। আর সেটা দেখেই প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক মানুষ ঝাড়গ্রামে বেড়াতে আসছেন। আর তাই পর্যটন ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে। রাজ্য সরকারের তরফে সাহায্য পেয়ে অনেকেই হোম স্টে খুলছেন। এর ফলে আয় বাড়ছে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষদেরও। প্রায় দু’ বছর আগে থেকে হোম স্টে তৈরির জন্য আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ঝাড়গ্রামের পর্যটন ব্যবসায় মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি আসছে। গত বছর পুজোর সময় প্রায় ১০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে ঝাড়গ্রামের বুকে। ধীরে ধীরে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে ওপরের সারিতে উঠে আসছে ঝাড়গ্রাম জেলা। গত বছরের শেষ থেকে চলতি বছরের প্রথম ২-৩ মাসেই প্রায় ৬০ হাজার পর্যটকের সমাগম হয়েছে ঝাড়গ্রামের বুকে। এই দিনবদলের ছবিকেই প্রচারে তুলে ধরছে তৃণমূল। তাঁরা আশাবাদী, এই পরিবর্তনই তাঁদের ২৪’র ভোটে জয়ের রাস্তা খুলে দেবে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর