নিজস্ব প্রতিনিধি: চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগে এবার এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়ারির বাসিন্দা রাজশেখর গিরি নামের ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করেছে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। রবিবার ধৃতকে খড়্গপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয় পুলিশের তরফে।
অভিযোগ, কেশিয়ারির বাসিন্দা রাজশেখর গিরি চাকরি দেওয়ার নাম করে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলেন। নিজেকে কেশিয়ারির তৃণমূল বিধায়ক পরেশ মুর্মুর ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি করেন অভিযুক্ত। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের ঠকান বলে অভিযোগ। যদিও বিধায়ক পরেশ মুর্মু ধৃত যুবকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করেছেন। এই ঘটনা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, আইন আইনের পথে চলবে। রাজশেখরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি কেশিয়াড়ি থানার মুড়াকাটা গ্রামে চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েচভহেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরতও দেননি তিনি। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করেন। বিধায়ক পরেশ মুর্মুর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বলেও দাবি করেন তিনি। এই ঘটনা নিয়ে রাজশেখর জানান, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, এই ধরণের কোনও প্রতারণার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। ঘটনার তদন্ত করলে সত্য ঘটনা সামনে আসবে।
অন্যদিকে রাজশেখর নিজেকে বিধায়ক পরেশ মুর্মুর ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করলেও তা অস্বীকার করেছেন পরেশ মুর্মু। ঘটনা নিয়ে তিনি জানান, ঘনিষ্ঠ বলে কোনও বস্তু হয় না। এর কোনও অর্থও হয় না। কেউ কোনও অপরাধ করে থাকলে দল সেটাকে প্রশ্রয় দেয় না। একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী পুলিশ ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানান, ২০১৬ সালে নির্বাচনের সময় রাজশেখর যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে দল তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।