নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও আক্রান্ত তৃণমূল। রবিবার কলকাতা পুরনির্বাচন মিটতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মণ্ডহারবার মহকুমার উস্তি থানার উত্তর কুসুম এলাকায় গুলিবিদ্ধ হলেন এক যুব তৃণমূল নেতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে বানেশ্বরপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতেই তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালেই ওই নেতার অস্ত্রোপচার করা হয়। গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার নাম সুজাউদ্দিন গাজি। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের উত্তর কুসুম অঞ্চলের যুব তৃণমূল সভাপতি।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত দশটা নাগাদ উস্তির উত্তর কুসুম এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন সুজাউদ্দিন। সেই সময় আচমকা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই যুবক। পরপর দুটি গুলি গিয়ে লাগে সুজাউদ্দিন গাজীর পেটে ও পিঠে। গুলি চলার শব্দে আশেপাশের লোকজন বেরিয়ে এলে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করা হবে। সুজাউদ্দিন মগরাহাট ১ নম্বর ব্লক যুব সভাপতি ইমরান হাসান ও উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কুতুবউদ্দিন লস্করের ঘনিষ্ঠ। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে দলের কাজকর্ম নিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মগরাহাট পশ্চিমের বিধানসভার বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় ব্লক যুব সভাপতি ইমরান হাসানের। এমনকি উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়েও পঞ্চায়েত প্রধান কুতুবউদ্দিন লস্করের সঙ্গে বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লার মনোমালিন্য ছিল। ইমরান ও কুতুবউদ্দিনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সুজাউদ্দিন। তাই এ ভাবে সুজাউদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছেন।