এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

শিলিগুড়ির দখল নিচ্ছে তৃণমূল! বাকি ৩ পুরনিগমও থাকছে দখলে

নিজস্ব প্রতিনিধি: সকলের নজর ছিল এই শহরের দিকে। কেননা বরাবরই এই শহরে দুর্বল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার ক্ষমতায় আসার পরে এক দশকের মধ্যে একবারের জন্যও কিন্তু এই শহরের বাসিন্দারা তৃণমূলকে পুরবোর্ডের ক্ষমতায় আনেননি। বরঞ্চ তাঁদের ভোটদানের প্রবণতা বলে দিচ্ছিল তাঁরা তৃণমূল বিরোধী। উনিশের লোকসভা ভোট হোক কী একুশের বিধানসভা এই শহরের জনতা চিরাচরিত ভাবে বামেদের পাশ থেকে সরে গিয়ে, কংগ্রেসকে দূরে ঠেলে পাশে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির। সেই জায়গা থেকে এবারে পুরভোটে বিজেপি চমক দেবে এমনটাই আশা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু কোথায় চমক, গণনার ট্রেন্ড বলে দিচ্ছে শহরের দখল নিতে চলেছে তৃণমূল। এই প্রথম এই শহরের বাসিন্দারা ভোট দিয়েছেন হাত উপুড় করে জোড়াফুলে। শহরের নাম শিলিগুড়ি। সোমবার এই শহর ছাড়াও আরও ৩টি শহরে চলছে পুরভোটের গণনা। সেই ৩ শহর হল বিধাননগর, চন্দননগর ও আসানসোল। সেই তিন শহর ছিল তৃণমূলেরই দখলে। এদিনের গণনার ট্রেন্ডও কিন্তু বলে দিচ্ছে ওই ৩ শহরে এবারেও ক্ষমতা ধরে রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস।

গত শনিবার রাজ্যের ৪টি পুরনিগমে ভোট হয়েছিল। সোমবার সকাল থেকে সেই চার শহরেই কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে ভোট গণনার কাজ শুরু হয়। সময় যতই গড়ায় ততই দেখা যায় ৪ শহরেই তৃণমূল সুনামি আছড়ে পড়তে চলেছে। বেশ কিছু ওয়ার্ডে এদিন গণনার প্রথম এক দেড় ঘন্টার মধ্যেই জয়ের খবর ভেসে ওঠে। সকাল ১০টার ট্রেন্ড বলছে, শিলিগুড়িতে এই প্রথমবার একক শক্তিতে বোর্ড গড়তে চলেছে তৃণমূল। বাংলায় ক্ষমতায় আসার পরেও শিলিগুড়ি পুরনিগম কিন্তু তৃণমূলের কাছে অধরাই থেকে গিয়েছিলে। এবার কিন্তু সেই শিলিগুড়িতে বড় জয়ের মুখে দাঁড়িয়ে তৃণমূল। শহরের ৪৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩১টি ওয়ার্ডেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শহরের সম্ভাব্য মেয়র পদপ্রার্থী রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব জয়ী হয়েছেন ৩ হাজারেরও বেশি ভোটে। আবার রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরনিগম আসানসোলের ১০৬ ওয়ার্ডের মধ্যে ৫০টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল। চনন্দনগরের ৩৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টিতে এগিয়ে তৃণমূল। বিধাননগরের ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল।

এবারের এই চার পুরনিগমের ভোটে তৃণমূল যে অনেকটা এগিয়ে থেকেই লড়াই শুরু করবে সেটা সকলেই জানতো। তারপরেও নজর ছিল বিশেষ করে ২টি পুরনিগমের দিকে। একটি শিলিগুড়ি, অন্যটি আসানসোল। নজর ছিল বিজেপির দিকে, বাম-কংগ্রেসের দিকেও। শিলিগুড়ি তথাকথিত ভাবে বামদুর্গ। সেখানে বিরোধী বলতে একসময় অস্তিত্ব ছিল শুধুমাত্র কংগ্রেসের। ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তনের পরে এই শহরে তৃণমূলকে ঠেকাতে বাম-কংগ্রেস যেমন হাতে হাত মিলিয়েছিল তেমনি শহরের আমজনতাও প্রবল ভাবে তৃণমূল বিরোধীতা চালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনে সেই শিলিগুড়িই কিন্তু বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে রেখে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তৃণমূলকে দূরে সরিয়ে রাখার মনোভাব নিয়েই। বিজেপি একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়িতে ৩৭টি ওয়ার্ডে এগিয়ে ছিল। সেই জায়গা থেকে এবারে অনেকেই আশা করেছিল এবারে বোধহয় বিজেপি শিলিগুড়ির দখল নেবে। যদিও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তাঁরা খাতাই খুলতে পারছে না শহরে। তৃণমূল আসছে ক্ষমতায়, দ্বিতীয় স্থানে বামেরা।

আসানসোলে তৃণমূল জিতবে সেটাও অনুমান ছিল। তাই দেখার বিষয় ছিল বিজেপি সেখানে কোনও চমক দিতে পারে কিনা। সকাল ১০টা পর্যন্ত পাওয়া ট্রেন্ড বলছে বিজেপি খুব জোর হলে সেখানে ১০-১২টি ওয়ার্ডে জিততে পারে। তার বেশি বিজেপির প্রাপ্তি কিছুই নেই। বিধাননগরের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে তৃণমূল তো জিতছেই, বাম ও কংগ্রেস সেখানে বিরোধী হিসাবেই উঠে আসছে। আর বিজেপি জাস্ট ভ্যানিশ। চন্দননগরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব একসময় সংবাদমাধ্যমের নিত্যদিনের খবর হয়ে উঠেছিল কিন্তু সেই ছবিটাই বদলাতে শুরু করে ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই শহর থেকে রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জয়ী হওয়ার পরে। তাঁর একান্তিক প্রচেষ্টায় চন্দননগরের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন অতীত। গোটা দলকেই ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন ইন্দ্রনীল সেন। আর তার জেরেই তিনি নিজে একুশের ভোটে তো জিতেছেনই, এবারের পুরভোটেও তিনি চন্দননগর থেকে জিতিয়ে আনছেন তৃণমূলকে। আর এখানেও বিরোধী হিসাবে উঠে আসছে সেই বাম-কংগ্রেসই। বিজেপি এখানেও ভ্যানিশ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর