নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদা: করোনা পরিস্থিতির আগে সারাদিনে মাত্র সাতটি এক্সপ্রেস ট্রেন এবং কয়েকটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন দাঁড়াতো মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিহার সীমান্তবর্তী কুমেদপুর জংশনে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে গোটা দেশেই। রাজ্য সরকারও লোকাল ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচলে ছাড়পত্র দিয়েছে। তবুও রাজ্যের সব এলাকায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করেনি রেল। অভিযোগ, কুমেদপুর জংশনে বহু ট্রেনের স্টপেজ তুলে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। এখন সারাদিনে মাত্র দুই-তিনটি ট্রেন দাঁড়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশনে। ফলে এলাকাবাসীরা বিগত ১১ দিন ধরে কুমেদপুর স্টেশনে ধরণায় বসে আছেন। রবিবার তাঁদের সঙ্গে ধরণায় যোগ দিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেন।
শাসকদলের এই বিধায়ক কয়েকদিন আগেই বিধানসভায় কুমেদপুর স্টেশনে রেলের বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার এলাকাবাসীদের ধরণার ১১তম দিনে যোগ দিয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্ল্যাটফর্মেই বসে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক। হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তজমুল হোসেন জানান, প্রয়োজনে কুমেদপুর স্টেশনে আগের মতো সমস্ত ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে দিল্লিতে গিয়ে রেল দফতরে যোগাযোগ করবেন। গ্রামবাসীদের সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।