নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ভূপতিনগরে বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। শনিবার ভূপতিনগরে এই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ল এনআইএ। ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আবহে ৭ এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার ভূপতিনগরে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং কুণাল ঘোষ।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ধৃত নেতাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মেগা জনসভা করবেন তৃণমুলের দুই প্রতিনিধি। এছাড়াও এনআইএকে অপব্যবহারের জন্য নির্বাচন কমিশনের সাথে জরুরি দেখা করার আবেদন করেছে তৃণমূল।
কি হয়েছিল ভূপতিনগরে? ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমার ভগবানপুর-২ ব্লকের ভূপতিনগর থানার অর্জুন নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নায়ড়াবিলা গ্রামে রাত প্রায় ১১টা নাগাদ ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না ও তাঁর ভাই দেবকুমার মান্না এবং বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA।
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের ঘটনায় ভূপতিনগরের বাসিন্দা তথা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলাই মাইতি এবং বুথ সভাপতি মনোব্রত জানা নামে দুই ব্যক্তিকে তলব করেছিল NIA। কিন্তু তাঁরা নির্ধারিত দিনে হাজিরা দেননি। সেই সূত্রেই এদিন NIA’র আধিকারিকেরা হুট করে তাঁদের বাড়িতে চলে এসে তাঁদের আটক করেন। তাঁদের বাড়িতে জানানো হয় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের নিয়ে গ্রাম ছেড়ে বেরোবার মুখে মারমুখী জনতার মুখে পড়েন NIA’র আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলাই এবং মনোব্রতকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ার দাবি করতে থাকেন। গাড়ির কাঁচও ভেঙে দেওয়া হয়। তার জেরে ২জন NIA’র আধিকারিক সামান্য জখম হন। এরপরে কোনওরকমে তাঁরা স্থানীয় থানায় গিয়ে হামলার অভিযোগ দায়ের করেন। পরে NIA’র তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় জড়িত থাকার জন্য বলাই ও মনোব্রতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে ভূপতিনগর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।