নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃতীয়াবারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরে আসার আগেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার চলাকালীন সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন, ছাত্রছাত্রী সহ পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড(Student Credit Card) চালু করবে। তাতে উপকৃত হবে রাজ্যের হাজার হাজার পড়ুয়া। কেননা সেখানে কম সুদে উচ্চশিক্ষার জন্য ঋণ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন মমতা। ক্ষমতার আসার মাত্র কয়েকমাসের মধ্যেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করেন তিনি। গত বছর ৩০ জুন নবান্ন থেকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সূচনা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার ১১ বছর পূর্ণ করল ঠিক তখনই তৃণমূলের(TMC) তরফে টুইট(Tweet) করা হল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের সাফল্য নিয়ে।
তৃণমূলের টুইটে জানানো হয়েছে, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে লোন পাওয়ার জন্য রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ পড়ুয়া আবেদন করেছে এখনও পর্যন্ত। তার মধ্যে সাড়ে ৩ হাজার পড়ুয়ার ঋণ মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার ও বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের পড়ুয়ারা ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারছে। আর সেই লোন তারা পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে শোধ করতে পারবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত পড়ুয়ারা এখন এই ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা নিতে পাচ্ছে। রাজ্য সরকারই এই ক্রেডিট কার্ডের গ্যারেন্টার। তাই সব ধরণের ব্যাঙ্ক(Bank) থেকে লোন পাওয়া যাচ্ছে৷ লোনের টাকা স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পেশাভিত্তিক কোর্স, গবেষণায় খরচ করা যাবে। যারা বিগত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে বসবাস করছেন, তাঁদের সকলে দেশে বা বিদেশে কোনও প্রতিষ্ঠানে এই টাকায় পড়াশোনা করতে পারবেন।
এর জন্য প্রথমে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আবেদনকারীদের মার্কশিট, সার্টিফিকেট স্ক্রুটিনি করে দেখে রাজ্য শিক্ষা দফতর। পড়ুয়াদের আপলোড করা যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হয়। তারপর আবেদনপত্রগুলি ব্যাঙ্কের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যে প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন পড়ুয়ারা, সেই প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কোর্স সম্পর্কেও খোঁজ নেয় শিক্ষা দফতর। সমস্ত শর্ত পূরণ হলে ব্যাঙ্ক থেকে লোনের টাকা সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। তবে মাঝে মধ্যেই অভিযোগ উঠছে সব কিছু ঠিক করে ব্যাঙ্কগুলির কাছে ঋণের আবেদন পাঠানো হলেও ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দিচ্ছে না। তারপরেও চালুর ১ বছরের মধ্যে ৩৫০০জন পড়ুয়ার ঋণ পেয়ে যাওয়ার ঘটনা অবশ্যই এই প্রকল্পের সাফল্যের বার্তাই তুলে ধরে।