নিজস্ব প্রতিনিধি: একাধিক স্টেশনে দাঁড়াচ্ছে না ট্রেন। যার ফলে পুরুলিয়া জেলা থেকে তৃণমূল কর্মীদের আগামী বৃহস্পতিবার ২১ জুলাই সমাবেশে যোগ দিতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। ট্রেনে চেপে আসার সুযোগ না থাকায় বাস ভরসা তৃণমূল কর্মীদের।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ১৬টি ট্রেন প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে পরিণত করা হয়েছে। যার জেরে গতি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ট্রেনের ভাড়াও। আর পযাসেঞ্জার ট্রেন থেকে এক্সপ্রেস ট্রেনে রুপান্তর করার ফলে একাধিক স্টেশনে আর থামছে না ট্রেন। বাড়তি ভাড়া দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রীদের। ট্রেনের যাতায়াতে এই পরিবর্তনের জেরে স্টপেজ কমেছে। কিন্তু ট্রেন চলাচলে পরিবর্তনের ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে জঙ্গলমহল এলাকার মানুষজনকে। এই সমস্যার জেরে ক্ষুব্ধ জঙ্গলমহলের যাত্রীরা। রেল সূত্রে খবর, আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিণত হয়েছে আদ্রা-হাওড়া শিরোমণি এক্সপ্রেসে ৷ হাওড়া-চক্রধরপুর প্যাসেঞ্জার ট্রেন পরিণত হয়েছে হাওড়া-চক্রধরপুর এক্সপ্রেসে। আর এই পরিবর্তনের ফলে যাত্রাপথে কমেছে স্টপেজ। ধর্মতলায় ২১ জুলাই সমাবেশে যোগ দিতে খড়গপুর, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, আসানসোলের তৃণমূল কর্মীরা সমস্যায় পড়েছেন। অবশেষে বাসে চেপে তাঁদের আসতে হচ্ছে ধর্মতলায়।
আগামী ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে জঙ্গলমহল থেকে যত সম্ভব কর্মী সমর্থককে কলকাতায় নিয়ে আসতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ট্রেন যাত্রায় এমন সমস্যার কারণে কর্মী সমর্থকরা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো জানান, ‘অসুবিধা ভীষণ হচ্ছে। তবে আগেভাগে বাসে করে কর্মীরা আসছেন। তারা থাকছেন কলকাতায়। রেল যথাযথ না থাকলেও কষ্ট করে আমাদের জেলার মানুষ আসবেন সমাবেশে যোগ দিতে।’