নিজস্ব প্রতিনিধি: বিরোধীরা যতই সমালোচনা করুক না কেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) চালু করা নানা আর্থসামাজিক প্রকল্পগুলি যে বাংলার অর্থনীতিতে বেশ ভালই ছাপ ফেলেছে তা দেশের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদরা মানছেন। এমনকি তাঁরা এটাও মানেন যে মমতার এই প্রকল্পগুলির হাত ধরে রাজ্যের একটা বড় অংশের মানুষ যেমন উপকৃত হয়েছেন তেমনি রাজ্যের অর্থনীতিরও উন্নতি ঘটেছে। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী আরও বেশি করে উদ্যোগী হয়েছেন এই সব আর্থসামাজিক প্রকল্পের সুবিধা আমজনতার কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। প্রান্তিক মানুষের কাছে নির্দিষ্ট সময়ে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই এই মুহূর্তে তাঁর মূল লক্ষ্য। কেননা সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন(Panchayat Election)। সেই কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি আসা অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির ওপরেও জোর দিচ্ছে নবান্ন। এর পাশাপাশি রাজ্যের ১৫টি দফতরের মাধ্যমে যে শতাধিক আর্থসামাজিক প্রকল্প চালু রাখা হয়েছে সেই সব প্রকল্পের সুবিধা আমজনতা অবধি পৌঁছে দুতে এবার মুখ্যমন্ত্রী ওই দফতরগুলিতে Task Force গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
নবান্ন(Nabanna) সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাজ্যের ১৫টি দফতরের(Departments) পদস্থ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদ্বীও। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, রাজ্যের শতাধিক আর্থসামাজিক প্রকল্প যে ১৫টি দফতরের মাধ্যমে চালু রাখা হয়েছে সেই দফতরগুলিতে একটি করে Task Force তৈরি করতে হবে। সেই Task Force’র কাজ হবে ওই সব দফতরের অধীনে চলা প্রকল্পগুলির সুবিধা সমাজের তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পৌঁছচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করা। পাশাপশি, এই কাজের জন্য প্রতিটি জেলার একজন করে অতিরিক্ত জেলাশাসককে নোডাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন। প্রসঙ্গত, বর্তমানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, কৃষকবন্ধু, জয় বাংলা পেনশন, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, শিক্ষাশ্রী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী সহ ১৬টি প্রকল্পের তালিকা নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, ন্যায্য উপভোক্তারা সুবিধাগুলি পেয়েছেন কি না। যদি কেউ বাদ পড়ে থাকেন, তাহলে জেলার সংশ্লিষ্ট অতিরিক্ত জেলাশাসক টাস্কফোর্সের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে এঁদের সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি দফতরের সচিবরাই হবেন Task Force’র মাথা।