এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

ইচ্ছামতী গিলছে বসিরহাটকে, শহর বাঁচাতে ১০ কোটির প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিনিধি: এই শহর শুধু জেলার অন্যতম মহকুমা শহরই নয়, আগামী দিনে এই শহরই হয়ে উঠতে চলেছে একটি নতুন জেলার সদর শহর। এখানেই গড়ে উঠবে জেলা শাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা পরিষদ ভবন এবং একটি জেলার প্রধান প্রশাসনিক কার্যালয়। একই সঙ্গে একটি জেলা সদরের যা যা পরকাঠামো থাক্র দরকার তার সবই এখানে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই শহরই যদি আস্তে আস্তে নদীর পেটে যেতে শুরু করে তাহলে শহরের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কী হবে? এই প্রশ্নটাই ভাবিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) সহ রাজ্যের মুখ্য ও শীর্ষ প্রশাসকদের। কেননা শহরটির নাম বসিরহাট(Basirhat) যাকে কেন্দ্র করে আগামী দিনে একটি নতুন জেলার জন্ম হতে চলেছে। অথচ সেই বসিরহাট শহরেই এখন ইচ্ছামতী(Icchamati) নদীর ভাঙন চূড়ান্ত আকার নিয়েছে। কার্যত সেই ভাঙনে তলিয়ে যেতে বসা বসিরহাট শহরকে বাঁচাতে রোড ম্যাপ চূড়ান্ত করে ফেলল উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলা প্রশাসন। আর সেই রোড ম্যাপকে বাস্তবায়িত করতে বরাদ্দ করা হল ১০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন দুয়ারে দুয়ারে ‘দিদির দূত’ অরাজনৈতিক ব্যক্তিরাও

বসিরহাট পুরসভা এলাকায় ইছামতীর ভাঙন মারাত্মক আকার নিয়েছে। সবথেকে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে শহরের ডকঘাট থেকে মিলনী সিনেমা হল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার অংশ। ডকঘাট এলাকায় রয়েছে প্রশাসনিক ভবন। গত সেপ্টেম্বর মাসে ভাঙনের কারণ খতিয়ে দেখেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা। সেচদফতরের আধিকারিকদের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, শহরের উল্টোদিকে তৈরি হওয়া একটি চরই নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ। আটের দশকে সংগ্রামপুর মৌজায় ওই চর গজিয়ে উঠেছিল। ওই চরে কিছুটা রায়ত জায়গাও রয়েছে। তবে বেশিরভাগই খাস জমি। ১৯৯৭ সালে ওই খাস জমি কৃষি পাট্টা হিসেবে দেওয়া হয়েছিল ৫০ জনের ওপর মানুষকে। পরবর্তী সময়ে ওই চরে একাধিক ইটভাটা তৈরি হয়। ইটভাটার মালিকরা পাট্টা প্রাপকদের কাছ থেকে জমি লিজে নিয়ে ইট তৈরির কারবার শুরু করে। ভাঙন রুখতে ইটভাটার ঝামা ইট ও বালি দিয়ে নদীগর্ভ ভরাটের কাজ শুরু করা হয়। ফলে ওই চর আরও বড় হয়। ওই জায়গায় নদী সঙ্কীর্ণ হয়ে বোতলের গলার আকার নিয়েছে। অথচ ওই জায়গা থেকে দু’দিকে এগিয়ে গেলে নদী অনেকটাই চওড়া। উল্টোদিকের ওই চরের কারণে বসিরহাট শহরে ভাঙনের তীব্রতা মারাত্মক আকার নিয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক, যে কোনওদিন শহরের ডকঘাট সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ইছামতীর গর্ভে তলিয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন Free Public Wi Fi Zone নিয়ে কড়া সতর্কবার্তা পুলিশের

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের উল্টোদিকে যেখানে নদী সঙ্কীর্ণ হয়ে বোতলের গলার আকার নিয়েছে সেখানে জোয়ারের সময় জলের স্রোত খুব বেড়ে যাচ্ছে। আর সেই স্রোত ধাক্কা দিচ্ছে শহরের দিকে। তার জেরেই বেড়ে চলেছে ভাঙনের সমস্যা। এই ভাঙন ঠেকাতে গেলে একমাত্র পথ রয়েছে নদীকে তার স্বাভাবিক পথে বয়ে যেতে দেওয়ার রাস্তা খুলে দেওয়া। আর তাই ঠিক করা হয়েছে ইচ্ছামতীর বুকে শহরের উল্টোদিকে থাকা ওই ‘বোটল নেক’ কেটে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ ফিরিয়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে দেড় থেকে দু’মিটার, কোথাও আবার তারও বেশি মাটি কেটে পুরনো চেহারায় ফেরানো হবে ইছামতীকে। তার জন্য চরে জমিতে পাট্টা পাওয়া মোট ৬২ জনের কৃষি পাট্টাও বাতিল করা হয়েছে। ওই চর কেটে নদীর নাব্যতা আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রায় ১০ কোটি টাকার ডিপিআর তৈরি করেছে সেচদফতর। ওই ডিপিআর অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র মিললে দ্রুত চর কাটার কাজে হাত লাগাবে প্রশাসন। প্রয়োজন অনুযায়ী ওই চর দেড় থেকে দু’ মিটার পর্যন্ত খনন করা হবে। প্রশাসনের এই উদ্যোগে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন বসিরহাট শহরের বাসিন্দারা।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মালদায় বাজ পড়ে মৃত্যু ১১ জনের, শোকপ্রকাশ মমতার

শুক্রে  ঝাড়গ্রামে সভা মমতার, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার ক্ষমতা নেই কারও, হুঙ্কার অভিষেকের

মালদায় আম কুড়োতে গিয়ে বজ্রপাতে মর্মান্তিক মৃত্যু ১১ জনের

‘২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মুখ খুলছে না, পাছে সত্যিটা বেরিয়ে পড়ে’, সরব মমতা

‘ভুল খবর ছড়িয়েছে, এতে বিভ্রান্তি হচ্ছে’, INDIA জোট নিয়ে বড় বার্তা মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর