নিজস্ব প্রতিনিধি: মিটেছে প্রাইমারি টেট। এবারে শুরু হবে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া। তবে প্রথম পর্যায়ের এই ইন্টারভিউতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন ২০১২, ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরা। উল্লেখ্য, গত বুধবারেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই কথা জানিয়েছিল পর্ষদ। আগামিকাল ইন্টারভিউ নেওয়া হবে প্রায় দু’শোরও বেশি জনের। তবে ঠিক তার আগে আদালতের দ্বারস্থ হলেন বেশ কয়েকজন উচ্চ প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষক- শিক্ষিকা।
বর্তমানে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট (PRIMARY TET) উত্তীর্ণরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। তাঁদের দাবি, ইন্টারভিউ (INTERVIEW) প্রক্রিয়ায় আগে তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। অন্যদিকে, আজ কলকাতা হাইকোর্টের (HIGH COURT) বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে উচ্চ প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষকদের একটি মামলার শুনানি ছিল। মামলাকারীদের বক্তব্য, গত ২১ নভেম্বর হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং উচ্চ প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষক- শিক্ষিকারা প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তাই তাঁদের আবেদন, তাঁরাও অংশ নিতে চান।
ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তবে কি প্রাথমিক (PRIMARY) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেরির আশঙ্কা? নতুন মামলাকারীদের আবেদনের শুনানি এদিন হলেও বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক নিয়োগ নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই দিনেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোলেও আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়োগ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। তাই আগামিকালের নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে পর্ষদের পূর্ব বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই। পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চাকরিপ্রার্থীরা যেন কোভিড বিধি মেনে চলেন।