নিজস্ব প্রতিনিধি: একটি বাড়িকে ঘিরে হঠাৎ পর্যটকদের ছবি তোলার উম্মাদনা শান্তিনিকেতনে। ভাবছেন রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি বিজড়িত কোনও বাড়ির কথা? না। যে বাড়িটিকে নিয়ে পর্যটকরা ছবি তুলতে ব্যস্ত সেই বাড়িটি বর্তমানে সংবাদমাধ্যমে চর্চায় উঠে এসেছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি হিসেবে। আর ‘অপা’ নামের সেই বাড়িটির সামনে সেলফি তুলতে ব্যস্ত পর্যটকরা।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর ইডির নজরে চলে আসে অর্পিতার সম্পত্তি। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে কোথায় কোথায় জমি, বাড়ি এবং ফ্ল্যাট রয়েছে তার খোঁজ শুরু করেন গোয়েন্দারা। বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে ‘অপা’ নামের একটি বাড়ির হদিশ পান তদন্তকারীরা। বাড়ির নামকরণ দেখেই ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, অর্পিতার নামের আদ্যাক্ষর অ এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামের আদ্যাক্ষর পা নিয়ে বাড়িটির নামকরণ করা হয়েছে ‘অপা’। এই বাড়িটি যে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে রয়েছে তা বোলপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের তরফে জানা গিয়েছে শনিবার। এসএসসি দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে থাকা একের পর এক বাড়ি, জমি ও ফ্ল্যাটে হানা দিচ্ছে। সেই আবহে বীরভূমের প্রান্তিকের ফুলডাঙা এলাকায় ‘অপা’ নামে ওই বাড়িকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। যদিও শনিবার জানা যায় ওই বাড়ি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে। ০.১৭ একর অর্থাৎ ১০ কাঠার বেশি জমিতে ওই বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন জানান প্রায় সময় অর্পিতা ওই বাড়িতে আসতেন। তবে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ওই বাড়িতে কখনও আসতে দেখেননি বলে জানান স্থানীয়রা।
বোলপুরের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামবাটি মৌজায় ১৯২৯ খতিয়ানটি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, মাতা মিনতি মুখোপাধ্যায়ের নামে রেকর্ড করা রয়েছে। ওই বাড়ির জমির খতিয়ান তৈরি হয়েছিল ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে।