এই মুহূর্তে




মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই গ্রেফতার দুই দালাল, সিল দোকান




নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়ার(Purulia) মাটিতে প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই জেলার দুর্নীতি নিয়ে সোমবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী(Chief Minister) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বৈঠকের মঞ্চ থেকেই জেলা শাসককে দাঁড় করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রীতিমত কড়া বার্তা দিয়েছেন জেলার দুর্নীতিপরায়ণ সরকারি কর্মচারীদের। সাফ জানিয়েছেন, ‘এত কিছু দিচ্ছি মানুষকে, তবু কয়েকজন এত লোভী কেন হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম।’ এর পাশে পাশেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ‘আমি কথা বলছি, তোমার পুলিশ চলে যাবে, তদন্ত করবে। একে বলে প্রশাসন, একে বলে কাজ। গরিব মানুষ যখন একটা কমপ্লেন করে, আমি নিতে পারি না। সে যেই হোক।’ বাস্তবেও দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর সেই কড়া বার্তার পরে পরেই জেলার বলরামপুরে(Balrampur) ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসের উলটো দিকে থাকা দুটি দোকানে সিল করে দিল পুলিশ। সেই সঙ্গে গ্রেফতার(Arrest) করা হল ওই দুই দোকানের দুই ব্যবসায়ীকে যারা কার্যত দালালের মতো কাজ করে চলেছিল।

মুখ্যমন্ত্রী এদিনের বৈঠকে জানিয়েছিলেন যে বলরামপুরের ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে যারা জমির মিউটিশনের জন্য আসছেন তাঁদের দেড় হাজার টাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হচ্ছে। যারা সেই টাকা দিতে পারছে না তাঁদের কাজও হচ্ছে না। ব্লক অফিস থেকেই নাকি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে অফিসের উলটো দিকে থাকা দুটি দোকান থেকে সব বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একটি হল করালীকিঙ্কর মোহান্তির দোকান। তার সাইনবোর্ড ভাঙা, অন্যটি হল প্রিয়াঙ্কা ভ্যারাইটিস। সেই ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দেখা গেল বলরামপুরের ওসি নিজে গিয়ে দুটি দোকানই সিল করে দিয়েছেন। শুধু সিল করাই নয়, দুটি দোকানের মালিকদেরই থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। তার কিছুক্ষনেই মধ্যেই গ্রেফতার হন রামজীবন মোহান্তি ও করালীকিঙ্কর মোহান্তি।

পুরুলিয়া জেলায় ভূমি দফতরের সমস্যা বহুদিনের। জেলার হুড়া ও বলরামপুর ব্লকে জমির মিউটেশন নিয়ে নানা অভিযোগ জমা হচ্ছিল। এ নিয়ে প্রথম সরব হন জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে অবশ্য তেমন সুরাহা হয়নি। এরপর সম্প্রতি হুড়ায় একই অভিযোগ বাড়তে থাকায় বিএলআরও অফিসে দাঁড়িয়েই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রসেনজিৎ মাহাত প্রতিবাদে মুখর হন। কেন সরকারি আধিকারিকরা এমনটা করছেন, এই প্রশ্ন তুলে শোরগোল ফেলে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও এই সংক্রান্ত অভিযোগের পাহাড় জমতে থাকে। এরপর এদিনের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগেই সেসব অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি জানান, বলরামপুরের বিএলআরও অফিসের সামনে দুটি দোকানে বেআইনি কাজ হয়। এখানে জমির ভুয়ো নথিপত্র তৈরি হয়।  




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মহিলাদের নিরাপত্তা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক জেলাশাসকের

শান্তিপুর ফুলিয়ার বসাক বাড়ির কাত্যায়নী পুজো ঘিরে আনন্দে মাতোয়ারা সকলে

বাংলাদেশে চ্যাংড়া ছাত্র নেতাদের হাতে ক্ষমতা , শাসন প্রতিষ্ঠা হবে কোথা থেকে: দিলীপ ঘোষ

বাগনান ও আমতা থেকে উদ্ধার বিলুপ্ত নয় ও চার কেজির দুটি বিশালাকার ময়ূরী কাছিম

রাজ্যের ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের ওপরে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট

‘ভারত বিদ্বেষী’ বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ দার্জিলিংয়ের হোটেলের দরজা

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর