নিজস্ব প্রতিনিধি: জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে হয়েছিল দফায় দফায় সংঘর্ষ। তা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল মালদায়। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ এক মহিলা ও যুবককে। পাল্টা আক্রমণ করে আহতরাও (Injured)। তাঁদের বিরুদ্ধে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ (Police)।
মালদার মানিকচক থানার এনায়েতপুরের ঘটনা। সাজমা বেওয়া নামে এক মহিলা জমির মাপ নিয়ে বেড়া দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। তা নিয়ে খাইরুল বাসার ও তাঁর ভাই শেখ শহিদুলের সঙ্গে বচসা শুরু হয় ওই মহিলা ও তাঁর ভাইয়ের। অভিযোগ, হাঁসুয়া দিয়ে খাইরুল ও শহিদুল আক্রমণ চালায় সাজমা ও তাঁর ভাইয়ের ওপর। মারতে থাকে একের পর এক কোপ। পরে পাল্টা বাঁশ দিয়ে আক্রমণ করেন সাজমা এবং তাঁর ভাই ও পরিবারের সদস্যরা। পেটাতে থাকেন দুজনকে। হাঁসুয়া নিয়ে কোপানোর ঘটনায় অভিযুক্ত দাদা ভিলেজ পুলিশ, ভাই সিভিক ভলেন্টিয়র। সিভিক ভলেন্টিয়রের অভিযোগ, ভুলবশত সাজমা ও তাঁর ভাই কিছু জমি পেয়েছিলেন তাঁর প্রতিবাদ করেন শহিদুল ও তাঁর ভাই। আর তারপরেই আক্রমণ করেন সাজমা ও তাঁর ভাই এবং পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে, হাঁসুয়ার আঘাতে আক্রান্তরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
উল্লেখ্য, এই দিন জলপাইগুড়িতেও জমি নিয়ে ২ পরিবারের মধ্যে বাধে বিবাদ। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর লেখা পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৩ জন। এই ঘটনা ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং- ২ গ্রামপঞ্চায়েতের ঝাড়শালবাড়ি এলাকার। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম গোবিন্দ মণ্ডল (৫৭)। আরও জানা গিয়েছে, গোবিন্দ মণ্ডল এবং তাঁর শ্যালক সুরঞ্জন মণ্ডলের পারিবারিক বিবাদ দীর্ঘদিনের। শনিবার বিকেলে তা চরম আকার নেয়। তারপরেই এই ঘটনা। ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। নেমে এসেছে শোকের ছায়া। অভিযোগ, ঘটনার দিন গোবিন্দ মণ্ডলের ওপর কোদাল, লাঠি, রড নিয়ে আক্রমণ করা হয়। চড়াও হয় তাঁর শাশুড়ি, শ্যালক ও শ্যালিকা। আক্রান্ত বাবা গোবিন্দ মণ্ডলকে বাঁচাতে যায় তাঁর ২ ছেলে, গৌতম মণ্ডল ও উত্তম মণ্ডল। তার আগেই লাঠির গুরুতর জখম হন গোবিন্দ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় জখম ব্যক্তির।