নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন বছর শুরুর আগেই ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতা(DA) নিয়ে বড়সড় আপডেট। তবে তা রাজ্যের ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকারের পক্ষে নয়, বরঞ্চ বিপক্ষেই যাচ্ছে। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এবার আরও বেশি সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা(State Government Employees)। ডিএ বা ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্সের দাবিতে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত একবারও মহার্ঘ ভাতা যা ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ নামে বেশি পরিচিত, তা বাড়েনি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য। বকেয়া ডিএ নিয়ে তারই মধ্যে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court)। সেই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে নিজেদের কর্মসূচি ঠিক করে ফেললেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ইউনিটি ফোরামের(Unity Foroum) আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার জানিয়েছেন, বকেয়া ডিএয়ের দাবিতে আগামী ২৭ জানুয়ারি তাঁরা গণছুটির ডাক দিয়েছেন। সেইসঙ্গে সেদিন থেকে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক।
আপাতত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ৩ শতাংশ ডিএ পান। যেখানে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ পান কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএয়ের ফারাক ৩৫ শতাংশ। তারইমধ্যে একটি মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, নয়া বছরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ ৩ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। কয়েকটি মহলের আবার দাবি, ডিএ বাড়তে পারে ৮ শতাংশ। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। ফলে আদৌও ডিএ মিলবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় আছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ মামলা চলছে। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে সেই মামলার শুনানি হতে পারে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। যদিও সেই পথে হাঁটেনি রাজ্য। হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০ মে’র রায় বহাল রাখা হয়েছে। তারই মধ্যে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকারি কর্মীদের তিনটি সংগঠন। সেই মামলার পর ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে রাজ্য। এখন ওই মামলার রায়ের দিকেই সকলে তাকিয়ে আছেন।