নিজস্ব প্রতিনিধিঃ উচ্চতায় প্রায় ১৪ ফুট। তাঁর অলৌকিক মাহাত্ম্যে জগতজুড়ে খ্যাতি। তিনি নৈহাটির বড়মা। নানান প্রান্ত এমনকি আন্তঃরাষ্ট্র থেকে প্রতিবছর মানুষ ছুটে আসে বড়মার টানে। ভক্তদের বিশ্বাস নৈহাটির বড়মা জাগ্রত। অন্তর থেকে শরণাপন্ন হলে কাউকেই তিনি ফিরিয়ে দেননা। এবছর নৈহাটি বড়মা কালী পুজো শতবর্ষে পদার্পণ করছে। এই উপলক্ষ্যে শনিবার নৈহাটি বড় মা কালীর নিজস্ব লোগো উন্মোচিত করা হলো। আয়োজন করা হল সাংবাদিক সম্মেলন।
পুজো কমিটির সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায় জানান, এই শতবর্ষে নৈহাটি বড় মা কালীর একটি কষ্টি পাথরের মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। যা চলতি বছরের মহালয়ার দিন উদ্বোধন করা হবে । এছাড়াও দুঃস্থ মানুষের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে নবনির্মিত এই বড় মা কালী মন্দিরে।
প্রসঙ্গত, কথিত আছে নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী নবদ্বীপে গিয়েছিলেন ভাঙা রাস দেখতে। সেখানে প্রতিমার আকার দেখে বাড়িতে একই আকারের কালীমূর্তি নিয়ে এসে পুজো করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর বাড়িতেই শুরু হয় পুজো।তবে আশ্চর্যের বিষয়, প্রতিবছর প্রতিমার আকৃতি বৃদ্ধির ফলে আর বাড়িতে এই পুজো করা সম্ভব হয়নি।তাই ঋষি অরবিন্দ রোডের পাশেই প্রতিমা বানিয়ে পুজো করার চল শুরু হয়। প্রথমে মা ভবেশ কালী রূপে পরিচিত হলেও তাঁর অলৌকিক মাহাত্ম্যে তিনি সকলের বড়মা।