নিজস্ব প্রতিনিধি: কলকাতার সঙ্গে পুরুলিয়ার দুরত্ব আরও কিছুটা কমতে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের হাত ধরে। কেননা আগামিকাল দেশে যে ৯টি নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের(Vande Bharat Express) উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) তার মধ্যে আছে হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস যা পুরুলিয়া ছুঁয়ে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে হাওড়া ও পুরুলিয়ার মধ্যে লালমাটি এক্সপ্রেস দিয়েছিলেন যা খড়গপুর ও টাটানগর হয়ে চলাচল করত সপ্তাহে ৩ দিন। কোভিদের পরে সেই ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখন সেই পথ ধরেই হাওড়া ও রাঁচীর মধ্যে বন্দে ভারত চালানো হচ্ছে। নতুন এই ট্রেন পেয়ে খুশি পুরুলিয়ার(Purulia) পর্যটন ব্যবসায়ী ও শিল্পমহল। তাঁদের দাবি, এই ট্রেনের হাত ধরে আগামী দিনে জেলার পর্যটন শিল্পে(Tourism Industry) জোয়ার আসতে পারে। আরও বেশি করে পর্যটকেরা এই ট্রেন ধরে কলকাতার দিক থেকে পুরুলিয়ায় আসতে পারেন বা পুরুলিয়া থেকে কলকাতার দিকে ফেরত যেতে পারেন।
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী হাওড়া-রাঁচি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাঁচি থেকে পরিচালিত হবে। অর্থাৎ ট্রেনটি তার যাত্রা শুরু করবে রাঁচী থেকে। মুড়ি, কোটশিলা, পুরুলিয়া, চান্ডিল, টাটানগর ও খড়গপুর হয়ে তা হাওড়ায় আসবে এবং এই পথেই ফেরত যাবে। মঙ্গলবার বাদ দিয়ে ট্রেননি প্রতিদিন মিলবে। রাঁচি থেকে ট্রেনটি ছাড়বে ভোর ৫টা ১৫মিনিটে। পুরুলিয়া জেলারই কোটশিলা স্টেশনে তা পৌঁছাবে ৬টা ৩৯মিনিটে। পুরুলিয়ায় পৌঁছাবে ৭টা ১৫মিনিটে। কোটশিলায় ট্রেনটির স্টপেজ ১মিনিটের হলেও পুরুলিয়াতে স্টপেজ ২মিনিটের। ট্রেনটি হাওড়ায় পৌঁছাবে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে। ফিরতি পথে ট্রেনটি ৩টে ৪৫মিনিটে হাওড়া থেকে ছেড়ে পুরুলিয়ায় আসবে রাত ৮টা ৩৩মিনিটে এবং কোটশিলায় পৌঁছাবে রাত ৯টা ১৫মিনিটে। ট্রেনটি রাঁচীতে তার যাত্রা শেষ করবে রাত ১০টা ৫০মিনিটে।
পুরুলিয়ার পর্যটন ব্যবসায়ীরা বেশ আশাবাদী এই ট্রেনটি নিয়ে। কেননা পুরুলিয়ার পাশাপাশি তা কোটশিলাতেও দাঁড়াবে। এর ফলে ঝালদার দিকে যে সব পর্যটনকেন্দ্রগুলি ছিল সেগুলিও এবার ভালোরকম পর্যটকের মুখ দেখবে। সামনের উৎসবের মরশুম। তারপরেই শীত ও বসন্ত। গ্রীষ্মের ২-৩ মাস কাটালে আবার বর্ষা। অর্থাৎ বছরের ৯ মাস এই ট্রেনের সুবাদে পুরুলিয়া ভালো সংখ্যক পর্যটক পাবে বলেই মনে করছেন সেখানকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে এই ট্রেন নিয়ে উৎসাহী গেরুয়া(BJP) শিবিরও। তাঁদের আশা এই ট্রেন চালুর ফলে ২৪’র যুদ্ধে পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্র ধরে রাখতে সক্ষম হবেন তাঁরা।