24ºc, Haze
Saturday, 1st April, 2023 7:55 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিশোধ না প্রতিহিংসা! ঠিক কোনটা কাজ করছে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের(Amartya Sen) বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) পদাধিকার বলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য(Viswabharati University Chancellor)। তিনিও কী বুঝতে পারছেন না অমর্ত্যের বিরুদ্ধে যে প্রতিহিংসার খেলা শুরু করেছে বিদ্যুৎময় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে দেশের ও তাঁর নামও জড়িয়ে যাচ্ছে? তিনি কী বুঝতে চাইছেন না, নাকি বুঝতে পারছেন না অমর্ত্য কাণ্ডে আদতে তাঁর নাম, যশ, প্রভাব, প্রতিপত্তিতে বড়সড় ক্ষতি করে দিচ্ছে। দেশের মাথা হেঁট হচ্ছে। নাহলে এবার কীভাবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অমর্ত্য সেনকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নোটিস ধরাতে পারে? এসব কী তাঁর নির্দেশেই হচ্ছে? প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা শুধু যে এবার দেশের জনগণ সন্মতির লক্ষ্যণ হিসাবেই দেখবে না, বরঞ্চ তাঁকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসাবেও চিহ্নিত করবে।
আরও পড়ুন হাত গামছা দিয়ে পিছমোড়া করে বাঁধা, Durgapur Murder’র ঘটনায় নিয়োগ দুর্নীতির ছায়া
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রবিবারই অমর্ত্যের শান্তিনিকতনের ঠিকানায় পৌঁছে গিয়েছে সেই চিঠি। ‘প্রতীচী’(Pratichi)র ঠিকানায় পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে আগামী ২৯ মার্চ অমর্ত্য অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধি যেন বিশ্বভারতীর সেন্ট্রাল অ্যাডমিশন বিল্ডিংয়ের কনফারেন্স হলে উপস্থিত থাকেন। সেখানেই ওই ‘বিতর্কিত’ জমি নিয়ে শুনানি হবে। বিশ্বভারতীর ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে, অমর্ত্য বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি দখল করে রেখেছেন। তাই আইন মেনে তাঁকে কেন ওই জমি উচ্ছেদ করা হবে না, সেই প্রশ্ন রাখা হয়েছে। ওই জমি নিয়ে বিতর্ক বেশ পুরনো। কিছু দিন আগে অর্থনীতিবিদ যখন শান্তিনিকেতনে(Shantiniketan) ছিলেন, সে সময়ই তাঁকে একটি চিঠি পাঠান বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, অতি শীঘ্র ১৩ ডেসিমেল জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে। ওই নোটিস ঘিরে জোরালো হয় বিতর্ক। অমর্ত্য পাল্টা দাবি করেন ওই বাড়ির জমির একটা অংশ বিশ্বভারতীর থেকে লিজ় নেওয়া, কিছুটা জমি কেনা। এখন মিথ্যে কথা বলছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা মমতা সরকারের
এর মধ্যে শান্তিনিকেতনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) অমর্ত্যের সঙ্গে দেখা করেন। অর্থনীতিবিদের হাতে জমির মাপজোক সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই বিএলআরও অফিসে গিয়েছিলেন মমতা। এর পর বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘এ ভাবে মানুষকে অপমান করা যায় না।’ হুঁশিয়ারি দেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার। দিন কয়েক আগে তাঁর বাবা আশুতোষ সেনের পরিবর্তে জমির লিজ় হোল্ডার হিসাবে নিজের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন অধ্যাপক সেন। বোলপুর ভূমি ও ভূমিসংস্কার দফতরে তার শুনানি ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অমর্ত্য সেনের এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবীরা। কিন্তু দীর্ঘ সওয়াল জবাবের পরেও তার মীমাংসা হয়নি। আর এবার তো সব সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে সরাসরি উচ্ছেদের নোটিস ধরানো হল। দেখার বিষয় এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী কী পদক্ষেপ নেন।