নিজস্ব প্রতিনিধি: ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রস্তাবে সায় দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাসভবনে বসেছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। ওই ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ জানান, ধূপগুড়ি ও বানারহাট- এই দু’টি ব্লক নিয়ে তৈরি হচ্ছে ধূপগুড়ি মহকুমা। খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে মহকুমার কাজকর্ম শুরু হবে। ধূপগুড়ির মানুষ দীর্ঘ দিন ধরেই মহকুমা চাইছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যে কখনও প্রতিশ্রুতি পূরণে দেরি করেন না, তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হল ধূপগুড়িকে মহকুমা করার এই সিদ্ধান্ত।’
দীর্ঘদিন ধরেই ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাসও দিয়েছিলেন। গত ২ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জোর গলায় প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছিলেন, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে ধূপগুড়ি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়, কীভাবে অভিষেক প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন? যদিও বিজেপি নেতাদের তোলা প্রশ্নকে খুব একটা পাত্তা দেননি ধূপগুড়ির বাসিন্দারা। অভিষেকের এক ঘোষণাতেই পাশার দান উল্টে যায়। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে ধূপগুড়ি আসন হাতছাড়া হয়েছিল শাসকদলের। উপনির্বাচনে পদ্ম শিবিরের হাত থেকে আসনটি পুনরুদ্ধার করেন ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়।
ধূপগুড়ি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়ের কয়েকদিন বাদেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। এদিন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের সেই ঘোষণাতেই সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।