নিজস্ব প্রতিনিধি: চাল-ডাল-আটার মতো শিক্ষাকেও কার্যত পণ্য করে তুলে বেওসা চালাচ্ছে বেসরকারি স্কুলগুলি। ইচ্ছেখুশিমতো বেতন বাড়াচ্ছে, ছলছুতোয় অভিভাবকদের পকেটে ছুরি চালিয়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে। বেসরকারি স্কুলের একতরফা বেওসা বন্ধে এবার নিয়ন্ত্রক কমিশন গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। একজন প্রাক্তন বিচারপতিকে ওই কমিশনের মাথায় বসানো হচ্ছে।
সম্প্রতি ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা বেসরকারি স্কুলগুলির ‘বেওসা’ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। শিক্ষাকে পণ্য না করার জন্য বেসরকারি স্কুলগুলির মালিকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এ বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই নির্দেশের পরেই বেসারকারি স্কুলগুলির বেওসার ওপরে নিয়ন্ত্রণ টানতে উদ্যোগী হয়েছে শিক্ষা দফতর। বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতালগুলির জালিয়াতি ও অবৈধ বেওসা রুখতে যেভাবে স্বাস্থ্য কমিশন গঠন করা হয়েছে, তেমনই বেসরকারি স্কুলগুলির স্বেচ্ছাচারিতার ক্ষেত্রে রাশ টানতে কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, একজন প্রাক্তন বিচারপতির নেতৃত্বে রেগুলেটরি কমিশন গঠন হবে। কমিশনে শিক্ষা-সহ বেশ কয়েকটি সরকারি দফতরের আধিকারিকরা থাকবেন। অভিভাবকরা তাদের যে কোনও অভিযোগ ওই কমিশনে জানাতে পারবেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করবে কমিশন। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে মোটা অঙ্কের জরিমানার পাশাপাশি আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করবেন। শিক্ষা দফতরের পদস্থ আধিকারিকদের মতে, স্বাস্থ্য কমিশন গঠনের পরে যেভাবে বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমের স্বেচ্ছাচারিতার ওপরে রাশ টানা গিয়েছে, রেগুলেটরি কমিশন গঠন করে বেসরকারি স্কুলগুলির ওপরেও তেমনভাবে রাশ টানা যাবে।