এই মুহূর্তে




‘পুরসভা রাখার দরকার কী’, নবান্নের সভায় তীব্র ক্ষোভ মমতার

Courtesy - Facebook




নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনে(Loksabha Election 2024) রাজ্যে সব থেকে বেশি আসন পেয়েছে তৃণমূল(TMC)। এমনকি উনিশের তুলনায় চব্বিশে তৃণমূলের আসন প্রাপ্তির সংখ্যাও বেড়েছে। তারপরেও দেখা যাচ্ছে রাজ্যের ১২১টি পুরসভার মধ্যে ৬৯টিতেই এগিয়ে আছে বিজেপি। তৃণমূল এগিয়ে আছে ৫১টি পুরসভায়। তারপরেই এদিন নবান্নে(Nabanna) বসেছিল রাজ্যের ২টি পুরসভা বাদ দিয়ে বাকি ২১২টি পুরসভার চেয়ারম্যান ও ৭টি পুরনিগমের মেয়রদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বৈঠক। সেই বৈঠকেই কার্যত রাজ্যের একাধিক পুরসভা ও পুরনিগমগুলির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ জানালেন, ‘আমার কথা কিছুটা তিক্ত হলেও মনে রাখবেন পুরসভা কিন্তু মানুষকে পরিষেবা দেয়। মানুষ যদি উন্নয়নের কাজ না পায় তাহলে সেই পুরসভা বা পঞ্চায়েত রাখার দরকার কী! কোথাও কোথায়ও আলো জ্বলতেই থাকে, কোথাও জল বন্ধ করা হয় না। রাস্তা সারানো হয় না। জঞ্জাল সাফ হয় না। কেন বেআইনি কোনও জিনিস আমরা মানব। অফিসাররা ভাবছে, আমি ২ বছর থাকব কোনও রকমে কাটিয়ে দেব। তা হয় না। আপনার পিরিয়ডটা রিভিউ করা হবে। এবার থেকে রিভিউ কমিটি তৈরি করা হবে। স্বচ্ছতা রেখেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’

এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ক্ষোভ উগরে জানান, ‘আমি বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছি, কোথাও যখন দখলদারি চলছে, তখনও কোনও অ্য়াকশন নেওয়া হচ্ছে না। কেউ টাকা খাওয়াচ্ছে, কেউ টাকা খাচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গিয়েছে রাজ্যের আইডেন্টিটিটা এটাতে নষ্ট হচ্ছে। মানুষকে অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে। বাংলার আইডেন্টিটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, আপনাদের টাকা নেওয়ার জন্য, কেন বুঝতে পারছেন না? জমি পাচ্ছেন বেচে দিচ্ছেন। টেন্ডার নিয়েও চলছে দুর্নীতি! কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। নিজেরা টেন্ডার দিচ্ছেন, কার থেকে কতটা খাচ্ছেন জানি না। কে খাচ্ছেন, কে খাচ্ছেন না জানি না। নিশ্চয় দিয়েই খাচ্ছেন। আমি এই কথাগুলো বলার জন্য মোটেই খুশি নেই, আমি দুঃখিত। কারও কারও অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, আইসি হলে যতটা পারি ইনকাম করে নিই, এসডিও হলে একটা সঞ্চয় করে নিই, ডিএ হলে সঞ্চয় করে নেব- এগুলো অনেক হয়েছে, আর করবেন না প্লিজ, এবার বড্ড চোখে লাগছে। আজ থেকে লোকালি কোনও টেন্ডার করতে দেব না, সব কেন্দ্রীয়ভাবে হবে। এর জন্য আমি কমিটি তৈরি করে দিচ্ছে। কমিটিতে থাকবেন- মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, সেচ দফতরের সচিব, সিপি, ডিজি, এডিজি আইন-শৃঙ্খলা।’

এদিন মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকে(Bengal Urban Development Review Meeting) সব থেকে বেশি তুলোধনা করেন হাওড়া পুরনিগমকে(Howrah Municipal Corporation)। ছত্রে ছত্রে তিনি এই পুরনিগমের কাজের দুর্ব্যবস্থার ছবি তুলে ধরার পাশাপাশি তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শহরের প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে তুলোধনা করেন। তিনি বলেন, ‘রথীন যখন চেয়ারম্যান ছিল, হাওড়াটাকে ১২টা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছে। হাওড়ায় প্রচুর বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে। অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার পর্যন্ত জায়গা নেই। অথচ নো অ্যাকশন। প্ল্যান পাশ করার জন্য মানুষকে অনেক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। অনলাইনে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। তাতেও কাজ হয়নি। আমি চাইনা কাউকে হেনস্থা হতে হোক। কিন্তু এবার ব্যবস্থা নিতেই হবে। কোনও বেআইনি ব্যবস্থা আমি মেনে নেব না। টাকার বিনিময়ে জমি জবর দখল হয়ে যাচ্ছে। আমলা থেকে পুলিশ কর্তা অনেকেই জড়িত। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনুমতি ছাড়াই যত্রতত্র দোকান বসানো হচ্ছে। দিনের পর দিন রাস্তা পরিষ্কার হয় না। রাজ্য প্রচুর টাকা দিচ্ছে তাও কাজ হচ্ছে না কেন? সব দুর্নীতি সাফ করব। ভদ্রতা মানে জবরদখল নয়। হাওড়ার এসডিও-কে শোকজ করো।’




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা পেয়েও কেন কাজ করাননি? বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ধমক বিডিও’র

সৎ ভাইকে গঙ্গায় ফেলে দিয়ে গা ঢাকা, অবশেষে গ্রেফতার দাদা, তোলপাড় নবদ্বীপ

সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন, ডোমজুড়ে ৪ বছরের শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

পণের টাকা দিতে না পারায় লাগাতার যৌন নির্যাতন, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা স্বামীর বিরুদ্ধে

ঈদে ছুটির কারণে শনিবারও হবে আর্থিক লেনদেন,বিজ্ঞপ্তি জারি অর্থ দফতরের

সঙ্ঘাতের পথ ছাড়লেন রাজ্যপাল,বাজেট অধিবেশনে পাশ হওয়া তিন বিলে ছাড় বোসের

Advertisement




এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর