নিজস্ব প্রতিনিধি: সাংসারিক অশান্তির কারণে নিত্যদিন বাড়িতে অশান্তি লেগে থাকত। আর সেই অশান্তির মাঝে বউকে মারধরও করতেন শেখ ওয়াহাব। তাই পাড়ার লোকেরা ইদানিংকালে আর তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতেন না। কিন্তু রবিবার সকালে তাঁরা আর মাথা না ঘামিয়ে পারলেন না। কেননা এদিন সাত সকালেই ওয়াহাবের হাতে খুন হয়ে যান তার স্ত্রী হোসেনারা বেগম(৪৮)। সেই ঘটনার পরে সবাইকে চমকে দিয়ে ওয়াহাব চলে যান সোজা থানায়। সঙ্গে নিয়ে যান একটি খিল। রক্ত মাখা সেই খিল পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ওয়াহাব জানান, ওই খিল দিয়েই হোসেনারার মাথায় বার বার আঘাত করে তাঁকে খুন করেছনে তিনি। ওয়াহাবের এহেন দাবি শুনে থ হয়ে যান পুলিশের কর্তারাও। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে হুগলি(Hooghly) জেলার চন্দননগর মহকুমার তারকেশ্বর(Tarakeshwar) থানার তালপুর এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ওয়াহাব কোনও কাজকর্ম করত না। আর তার জেরেই সংসারে নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত। এদিন হোসেনারা খুন(Murder) হওয়ার পরে তাঁর প্রতিবেশী ও দূর সম্পর্কের এক বোন জানান, ‘ওয়াহাব কোনও কাজ করত না। আমার বোন বারবার ওকে কাজের কথা বলত। সেই নিয়েই অশান্তি। আমরা চাল-ডাল দিতাম। বোনের ছেলেদের আমরাই মানুষ করেছি। বোন ওকে কাজ করতে বলত। সেই নিয়েই ঝামেলা লেগে থাকত। আজ সকালবেলায় ছেলে পাশের বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। তখন বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই সময় বাটাম দিয়ে সজোরে আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয় স্ত্রীর। পরে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পন করে সে। আমরা চাই ওর যেন যাবজীবন কারাদন্ড হয়।’ জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ৪টি সন্তান রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই হোসেনারার দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেফতার করেছে ওয়াহাবকে।