নিজস্ব প্রতিনিধি: নতুন বাংলা বছরের শুরুতেই বাঁকুড়া(Bankura Town) শহরবাসী নতুন সেতু(New Gandheshwari Bridge) উপহার পেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) তরফে। গন্ধেশ্বরী নদীর(Gandheshwari River) ওপর নির্মীয়মাণ সেতু শহরের বাসিন্দাদের কাছে বাংলা নববর্ষের উপহার হতে চলেছে। চলতি এপ্রিল মাসেই যাতায়াতের জন্য তা খুলে দেওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্যের পূর্তদফতর সূত্রে। আপাতত সেতুর রং ও অ্যাপ্রোচ রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। সেতু খুলে গেলে বাঁকুড়া শহরের সঙ্গে দুর্গাপুর ও রানিগঞ্জগামী যানের গতি আরও বাড়বে। যাতায়াতকারীদের সময়ও অনেক কমবে বলে আশা। নববর্ষের মধ্যেই নতুন সেতু খুলে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। তবে আরও কয়েকদিনের কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলি চলছে। খুব শীঘ্রই যাতায়াতকারীদের জন্য সেতু খুলে দেওয়া হবে বলে পূর্ত দফতরের তরফে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন বউ রইল পড়ে, বৌদিকে নিয়ে যুবক গেল ভেগে
বাঁকুড়া শহরের একপ্রান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে গন্ধেশ্বরী নদী। শহর থেকে বাঁকুড়া-২ ব্লকের কেশিয়াকোলের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল পুরনো একটি কজওয়ে। কিন্তু, সেই কজওয়ে দিয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বাসিন্দারা প্রবল সমস্যায় পড়তেন। বিশেষত বর্ষার সময় ওই কজওয়ে কার্যত নদীর জলে ডুবে যেত। তারফলে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যেত। ওই কজওয়েতে একাধিকবার দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তাই সেখানে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। অবশেষে ২০১৮ সালে সেই সেতু নির্মাণের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে অনুমোদন মেলে। প্রায় ১৭ কোটি টাকা এই সেতু নির্মাণের জন্য বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। সেই সেত্যু নির্মাণের দায়িত্ব পায় রাজ্যের পূর্ত দফতর। এরপরেই পুরনো কজওয়ে ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে পূর্তদফতর। ২০১৯ সাল থেকে সেই কাজ শুরু হলেও কোভিড পরিস্থিতির জেরে তা থমকে যায়।
আরও পড়ুন দুয়ারে সরকার শিবিরে মুকুব ১০ লক্ষাধিক টাকার বিদ্যুৎ বিল
কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে সেই সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও তা আবারও ধাক্কা খায় নির্মীয়মাণ সেতুর নীচে পাথর থাকায়। সেতুর ৮টি স্তম্ভ নির্মাণ করতে গিয়ে একাধিকবার বিস্ফোরণ ঘটাতে হয়। জিলেটিন স্টিক দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পাথর সরাতে হয়। তারপর বাকি কাজ হয়েছে। তারসঙ্গে বাঁকুড়া শহরের অংশে একটি কজওয়ের আমূল সংস্কার করা হয়। তারসঙ্গে অ্যাপ্রোচ রোডও তৈরি করা হয়েছে। নতুন সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫৫ মিটার। ফুটপাত সহ সেতুটি চওড়ায় ১৫ মিটারের বেশি। সেতুর উপর দিয়ে দু’টি বড় যান অনায়াসে যাতায়াত করতে পারবে। সেতু নির্মাণের কাজ কার্যত শেষ হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হবে। সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ায় খুশি বাসিন্দারাও।