নিজস্ব প্রতিনিধি: মাছ ধরতে গিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা (FISHERMAN)। দিঘার সমুদ্রে পেটের তাগিদে পাড়ি দিয়েছিলেন ১২ জন মৎস্যজীবী। জানা গিয়েছে সেই ট্রলার আটকে রয়েছে মাঝ সমুদ্রে। তাঁদের সঙ্গে নেই খাবার- জল। ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়াতেই এই বিপত্তি। মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করার জন্য তৎপরতা শুরু হয়েছে। মৎস্যজীবীদের আটকে পড়ার ঘটনায় তাঁদের বাড়ির এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন।
যেই ট্রলারে মৎস্যজীবীরা গিয়েছিলেন, ওই ট্রলারের নাম, ‘মা রক্ষাকারী’। দিঘার মোহনা থেকে ১২ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত গিয়েছিল ট্রলারটি। তারপরেই হঠাৎ করে বিকল হয়ে যায় ট্রলারের ইঞ্জিন। আটকে পড়েন ১২ জন মৎস্যজীবী। শনিবার রাতের ঘটনা। মৎস্যজীবীদের সঙ্গে থাকা জল- খাবার শেষ হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আটকে পড়া মৎস্যজীবীদের খাবার ও জল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উদ্ধারকার্যের জন্য পাঠানো হচ্ছে অন্য ট্রলার। আটকে থাকা মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করতে তৎপর প্রশাসন।
গত শনিবার রাত থেকে আটকে থাকার ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন মৎস্যজীবী ও তাঁদের পরিবার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খবর পাওয়া মাত্র তৎপর হয়েছে প্রশাসন। আটকে পড়া মৎস্যজীবীদের জন্য জল ও খাবার পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকার্যের জন্য আলাদা ট্রলার পাঠানো হচ্ছে। আটকে থাকা ট্রলারটিকেও নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্বিঘ্নে ফিরিয়ে আনা হবে আটকে থাকা সকলকে। আটকে থাকা মৎস্যজীবীদের পরিবারকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে।
আটক মৎস্যজীবীদের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সমুদ্রে ট্রলার ১২ কিলোমিটার যাওয়ার পরেই ট্রলারের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গিয়েছে। সঙ্গে জল- খাবার যা ছিল, তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন সঙ্গে জল ও পানীয় খাবার নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত পাঠানো হচ্ছে। তাঁদের উদ্ধারের জন্য তৎপর প্রশাসন। মৎস্যজীবীরা বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত, দুশ্চিন্তা থকবে। তাঁরা প্রশাসনের ওপরে নির্ভর করে আছেন।