এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘দিদি আমাদের বাঁচান’, মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ কেন্দ্রীয় মিলের কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি: ৮৩ বছর আগে যে কারখানা চালু হয়েছিল এখন তা National Textile Commission বা NTC’র অধীনে। তাই কোনও ভাবেই কারখানা বন্ধ হওয়ার কথা নয়। কিন্তু সেই কারখানাই গত ৩ বছর ধরে বন্ধ হ্যে পড়ে আছে। যে কারখানার কথা এখানে বলা হচ্ছে তার নাম আরতি কটন মিল(Aarati Cotton Mills)। হাওড়া(Howrah) শহরে দাসনগর(Dasnagar) স্টেশনের কাছেই এই মিল চালু হয়েছিল ১৯৪০ সালে। একসময় এই মিলে হাজারের বেশি মানুষ কাজ করেছেন। কিন্তু একসময় তা লোকসানে চলতে শুরু করায় কেন্দ্রীয় সংস্থা তা অধিগ্রহণ করে। মিল চলে যায় NTC’র অধীনে। ২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকেই এই কারখানার গেটে তালা পড়েছে। পরে লকডাউন উঠে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও কারখানার গেট আর খোলা হচ্ছে না। এখন এই কারখানার চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত শ্রমিকরা ৬ মাস ধরে কোনও বেতন পাচ্ছেন না। একই অবস্থা কারখানার আধিকারিকদেরও। তার জেরেই এবার কারখানার শ্রমিক ও আধিকারিকেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) দ্বারস্থ হচ্ছেন যদি তিনি এই কারখানা খোলাতে পারেন।

আরও পড়ুন ১ মাসে ১ জেলায় ১৭ কোটির অনুমোদন, কামাল করল মমতার সরকার

আরতি কটন মিল কেন্দ্রীয় বয়ন মন্ত্রকের অধীনে বাংলার একমাত্র মিল। কোভিডের সময়ে মিলটি লকডাউনের জেরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে লকডাউন উঠলেও কারখানা না খোলায় শ্রমিকেরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সেই বিক্ষোভের জেরে কেন্দ্র সরকার ২০২১ সালে ৩ মাসের জন্য কারখানা খুললেও আবারও তা বন্ধ করে দেয়। লকডাউন-পরবর্তীকালে কর্মীরা পুরো বেতন পেয়েছিলেন। তার কিছুদিন বাদে তাঁদের অর্ধেক বেতন প্রদানের কথা বলা হয়! কিন্তু বিগত ৬-৭ মাস ধরে তাঁরা কোনও বেতনই পাচ্ছেন না। চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত শ্রমিকরা ৬ মাস বেতন পাননি। আর যাঁরা সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী, তাঁরা বেতন পাননি ৭ মাস। এই অবস্থায় বেতনের দাবিতে কারখানার শ্রমিক ও আধিকারিকেরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছেন। মিলের শীর্ষস্থানীয় কর্তা, এইচআর ও ম্যানেজার স্টাফ, অফিস ক্লার্ক থেকে শুরু করে চুক্তি ভিত্তিতে থাকা শ্রমিকেরা সবাই এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন ১০০ কোটির E-Transaction’র নজীর গড়তে চলেছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র

এই আন্দোলনের নেতৃত্ব এখন কারখানার শ্রমিক সংগঠন INTUC’র হাতে। তাঁরাই এখন শ্লোগান তুলেছেন, ‘দিদি আমাদের বাঁচান’। কেননা কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার তাঁদের দেখছে না, তাঁদের কথা শুনছে না। তাই গোটা বিষয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। এই বিষয়ে INTUC’র সভাপতি মানস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। দেশজুড়ে NTC’র কটন মিল রয়েছে ২৩টি। এগুলি বাঁচিয়ে রাখা দরকার। সুতোর চাহিদা কিন্তু কমেনি। উল্টে অব্যবহারে মেশিনগুলিই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় কর্মী হয়েও এতজন ব্যক্তি বেতন পাবেন না, এর চেয়ে খারাপ পরিস্থিতি আর কী হতে পারে! কেন্দ্র হয়তো আরতি কটন মিল বেচে দিতে চাইছে। এবার আমরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি। বিষয়টি নিয়ে তিনিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলুন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

‘বুথের বাইরে কেন অশান্তি’, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ফোন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনারের

‘মানুষ আছে দিদির পাশে’, ভোট দিয়ে বেরিয়েই জানালেন নির্মল

তাজ্জব ঘটনা! দিব্যি বেঁচে, তবে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে শুনলেন তিনি মৃত

কোচবিহারের একাধিক জায়গায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ, আধা সেনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

সরাসরি : দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটদান গড়ে ৫০.৯৬ শতাংশ, শীর্ষে আলিপুরদুয়ার

প্রথম ২ ঘন্টাতেই কমিশনের কাছে ৩৭টি অভিযোগ তৃণমূলের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর