নিজস্ব প্রতিনিধি: সবাই ঘর গোচ্ছাচ্ছে। লক্ষ্য ২৪’র ভোটে(General Election 2024) ভাল ফল করা। বাংলাতেও(Bengal) চলছে সেই ঘরে গোছানোর পালা। দেশে গঠিত বিজেপি বিরোধী INDIA জোটের দুই শরিক দল কংগ্রেস ও তৃণমূল(TMC) এ রাজ্যে আসন রফার সূত্রে একমত হতে পারবে কী পারবে না সেটা বলার সময় এখনও আসেনি। কংগ্রেস তৃণমূলের শর্ত মেনে ২টি আসনে রাজী হয়ে গেলে বাংলার মাটিতে দুই দলের জোট নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কংগ্রেস তার বেশি আসন চাইলে জোট নাও হতে পারে দুই দলের। ঠিক এই রকম অবস্থায় কিছুটা বাংলায় তৃণমূলের পাশে এসে দাঁড়ালো প্রাক্তন আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদবের(Yogendra Yadav) দল ‘ভারত জোড়ো অভিযান’(Bharat Jodo Abhiyan)। এদের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশজুড়ে বিজেপিকে রুখে দেওয়া। সেই লক্ষ্যেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলায় যেহেতু বিজেপির বিরোধী প্রধান শক্তি হিসাবে তৃণমূল লড়াই করছে, তাই তাঁরা তৃণমূলের পাশেই থাকবেন। বাংলার মাটিতে তৃণমূল বিরোধী কোনও অবস্থান তাঁরা নিচ্ছেন না।
দেশে নাগরিক আন্দোলনের পরিচিত ‘মুখ’ যোগেন্দ্র যাদব। তিনিই মূল নেতা ‘ভারত জোড়ো অভিযান’র। হরিয়ানার ভূমিপুত্র যোগেন্দ্র একটা সময়ে ছিলেন আম আদমি পার্টির নেতা। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে বনিবনার অভাবেই সেই দল ছাড়েন তিনি। বিজেপি বিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে গত কয়েক বছরে যোগেন্দ্র বার বার নাগরিক সমাজের ‘মুখ’ হিসেবে সামনে এসেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাব থেকে এই নতুন দলটির নাম ঘোষণা করেছিলেন। তাদেরই পশ্চিমবঙ্গ শাখা কলকাতা সহ শহরতলির নানা এলাকা এখন পোস্টারে ছেয়ে দিয়েছে। ওই সব এলাকায় যে পোস্টার পড়েছে, তার রং লাল-সাদা। সেই রং নির্বাচনেও অনেকে ‘বাম ঘরানা’ দেখছেন। তবে পোস্টার দর্শনে বাম ছোঁয়া থাকলেও মূল ধারার বামেরা যে এতে নেই, তা স্পষ্ট। সব থেকে বড় কথা এই দলটি তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দিলেও লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে কিন্তু কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না।
এই বিষয়ে ভারত জোড়ো অভিযানের এ রাজ্যের সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক কল্যাণ সেনগুপ্ত’র দাবি, একুশের ভোটেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এ রাজ্যে বিজেপিকে রুখে দিতে পারে একমাত্র তৃণমূলই। গোটা রাষ্ট্রশক্তি নিয়েও ২০২১ সালে বাংলা দখল করতে পারেনি বিজেপি। বাংলায় বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলই মূল শক্তি। তাঁদের মূল লক্ষ্য বিজেপিকে হারানো। তাই তাঁরা তৃণমূলকেই সমর্থন দেওয়ার ও করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কেননা এখানে আলাদা করে প্রার্থী দিলে সেটা বিজেপিকেই সুবিধা করে দেবে। তাই সেই পথে তাঁরা হাঁটবেন না। পরিবর্তে তৃণমূলকে তাঁরা নিঃশর্ত সমর্থন দেবেন। রাজ্যজুড়ে সভাসমিতি করে তাঁরা বিজেপি বিরোধী জনমত গড়ে তুলবেন। তাঁদের সীমিত সাধ্যের মধ্য দিয়েই তাঁরা সেই কাজ করে যাবেন।