28ºc, Haze
Monday, 27th March, 2023 10:08 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: এখন প্রায় সব ব্যাঙ্কেই অ্যাকাউন্ট(Bank Account) চালু করতে গেলে বা পুরাতন অ্যাকাউন্ট চালু রাখতে গেলে আধার কার্ডের(Aadhar Card) সঙ্গে সেই অ্যাকাউন্টকে যুক্ত করতে হয়। কিন্তু আধার কার্ডের সঙ্গে যুক্ত ফোন নম্বর(Mobile Number) যে আপনার অজান্তেই বদলে যেতে পারে সেটা কী আপনি জানেন? যদি না জানেন তো জেনে নিন। এই ঘটনা সামনে এসেছে বীরভূম জেলার সিউড়ি(Suri) শহরে থাকা বীরভূম(Birbhum) জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের দুর্নীতির জেরে। যা ধরেছেন সিবিআই(CBI) আধিকারিকেরা। গত কয়েক দিন ধরেই এই নিয়ে নানা সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া ও রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। কেননা গরু পাচার চক্রের তদন্তে নেমেই সিবিআই আধিকারিকেরা এই ব্যাঙ্কে ৫০০টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন যে সব অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করে নেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনার আরও গভীরে ঢুকে সিবিআই আধিকারিকেরা দেখতে পেয়েছেন ওই ৫০০টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে ১৭৭টু অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে আধার কার্ডের সঙ্গে জড়িত থাকা ফোন নম্বরও গ্রাহকদের অজান্তেই বদলে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর নজরে প্রবীণরা, সব হাসপাতালে পৃথক জেরিয়াট্রিক বিভাগ ও ওয়ার্ড
সিবিআই এই ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে সিউড়ির ওই সমবায় ব্যাঙ্কে যে ৫০০টি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল সেই সব অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য যাদের নামধাম, আধার কার্ড, ছবি, নথি ব্যবহার করা হয়েছিল তা সেই সব মানুষেরা জানতেনই না। মানে পাতি বাংলায় মানুষের অজান্তে তাঁদের নামে তাঁদের আধার কার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৭৭টি অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে আধার কার্ডে থাকা ফোন নম্বরও বদলে দেওয়া হয়েছিল যাতে ওই সব অ্যাকাউন্টের তথ্য আধার কার্ডধারী না জানতে পারেন। পরিবর্তে ওই ১৭৭টি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে নির্দিষ্ট তিন বা চারটি ফোন নম্বর ‘লিঙ্ক’ করানো হয়। অ্যাকাউন্টের যাবতীয় বিবরণ যাতে ওই নম্বরে আসে সেই কারণেই এই ব্যবস্থা। গোটা বিষয়টির নিয়ন্ত্রণ নির্দিষ্ট কয়েকজন ব্যক্তির হাতে ছিল বলেও সিবিআই আধিকারিকেরা এখন জানতে পেরছেন।
আরও পড়ুন আবারও ভারতসেরা বাংলা, এবার স্বল্প সঞ্চয়ে
সাধারণত সমবায় ব্যাঙ্কে অ্যাকউন্ট খোলার জন্য ‘ইন্ট্রোডিউসার’ বা প্রস্তাবক লাগে। ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে আরও অবাক হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ১৭৭টি অ্যাকাউন্টের প্রতিটিতেই প্রস্তাবক হিসেবে ছিল একজন ব্যক্তিরই নাম। ফোন নম্বরগুলি আসল ব্যক্তির কি না, সেটুকুও যাচাই করেনি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম অনুযায়ী, ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেনের জন্য প্যান কার্ডের নথি প্রয়োজন হয়। সেই বিষয়টি এড়াতে প্রতিবার কম টাকার লেনদেন করা হতো। ভুয়ো অ্যাকাউন্টের চেক দিয়ে বিভিন্ন কোম্পানিকে টাকাও পাঠানো হয়। আরবিআই এবং আয়কর দপ্তরে তরফে এই সমস্ত অ্যাকাউন্টের লেনদেন ও গ্রাহক তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাতে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি।