এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

Youth Hostel যাচ্ছে বেসরকারি হাতে, তাতেও থাকছে লাভের প্রশ্ন

Courtesy - Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি সম্পত্তি ১৫ বছরের জন্য যেতে বসেছে বেসরকারি হাতে। সেগুলিকে লাভজনক করে তোলার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ। কিন্তু সেই পদক্ষেপে কতজন সাড়া দেবে তা নিয়ে দানা বাঁধছে প্রশ্ন। কেননা বেশ কিছু কড়া নিয়মকানুনের উপস্থিতি। নজরে রাজ্য সরকারের(West Bengal State Government) অধীনে থাকা ৩৪টি Youth Hostel। সরকারি খরচে লাগাম টানতে এই সব Youth Hostel-কে ১৫ বছরের জন্য বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই ১৫ বছর ওই সব Youth Hostel’র যাবতীয় দায়িত্বভার টেন্ডারের মাধ্যমে তুলে দেওয়া হবে বেসরকারি হাতে। রাজ্য ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের হাতে থাকা এই Youth Hostel-গুলির পরিষেবার মান উন্নত করে তোলার পাশাপাশি সেগুলির ভাড়া বাবদ বিপুল টাকা ঘরে তোলার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে, আদৌ কী এই পরিকল্পনা সফল হবে, তা নিয়েই। কেননা আগেকার নিয়মকানুন বজায় রেখেই সেগুলি চালাতে হবে। আর সেই নিয়মকানুন নিয়েই সিদ্ধান্তের সাফল্যের ক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।

মূলত কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের(Students) থাকার জন্যে সরকারি অর্থানুকূল্যে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে Youth Hostel গড়ে ওঠা শুরু হয় বাম জমানাতেই। পরিবর্তনের পরে সেই সব Youth Hostel’র সংখ্যাও বাড়ে। এমনকি Youth Hostel’র দরজা খুলে দেওয়া হয় পর্যটকদের জন্যও। এতদিন এই সব Youth Hostel’র দেখভাল করত রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতর। কিন্তু দেখা যেত, বেশ ভাল ভাল জায়গায় সেই সব Youth Hostel গড়ে তোলা হলেও একটিও Youth Hostel লাভের মুখ দেখেনি। কেননা সেখানে ভাড়া কম থাকা সত্ত্বেও পর্যটকদের(Tourists) ভিড় হতো না। ফলে সেই সব Youth Hostel’র রক্ষণাবেক্ষণে বছরে রাজ্য সরকারের বেশ কয়েক কোটি টাকা খরচ হতো। সরকার এখন সেই খরচে লাগাম টানতে চাইছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবার থেকে এক একটি Youth Hostel’র খরচ নিজেদেরই জোগাড় করতে হবে। সে জন্যেই রাজ্যের সব Youth Hostel’র ভার বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে।

ঠিক হয়েছে, দেশের কোথাও ৫ বছরের জন্য ন্যূনতম ৫০ বেডের কোনও হোটেল, লজ, গেস্ট হাউস বা রেস্তরাঁ চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন কোনও সংস্থাকেই লিজ দেওয়া হবে। তবে সেই লিজ তাঁরাই পাবে যারা রাজ্যের শর্ত মেনে নেবে। আর এখানেই থাকছে প্রশ্ন। কোন সংস্থা শর্ত মেনে এই সব Youth Hostel চালানোর দায়িত্ব নেবে? কেননা শর্তের মধ্যে থাকা নিয়মকানুনই Youth Hostel’র লাভের মুখ না দেখার অন্যতম কারণ। রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে গড়ে ওঠা ওই সব Youth Hostel’র ভাড়া সেখানকার হোটেলগুলির তুলনায় অনেক কম হলেও বেশ কিছু নিয়মকানুনের জন্য সেখানে পর্যটকেরা তো বটেই, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা পা ফেলতে চান না। 

এর মধ্যে অন্যতম নিয়ম হল Youth Hostel’র ভিতরে মদ্যপান ও ধূমপান সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ। ভিতরে কোনওরকম ভিডিও করা যায় না। সেলফি তোলাও নিষিদ্ধ। লোডশেডিং হলে জেনেরাটের সুযোগ মেলে না। এই সব নিয়ম আগামী দিনেও থাকছে। সেই সঙ্গে যারা লিজ নেবে তাঁদের বলেই দেওয়া হচ্ছে, Youth Hostel’র ঘর শুধুমাত্র পর্যটকদেরকেই ভাড়া দিতে হবে। পর্যটকদের সুরক্ষায় নিরাপত্তারক্ষী রাখতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি বা ছাত্র-যুবরা ভাড়ায় ৫০ শতাংশ ছাড় দিতে হবে। দু’টি বাতানুকূল রুম আলাদা করে রাখতে হবে ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের মনোনীত অতিথিদের জন্যে। এ ছাড়াও জঞ্জাল সাফাই, অগ্নিনির্বাপণ এবং ছোটখাট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব লিজ নেওয়া সংস্থাকেই পালন করতে হবে। ক্যান্টিনের সুবিধাও রাখতে হবে। আর এখানেই প্রশ্ন, এত সব শর্ত মেনে কয়জন পর্যটক বা পড়ুয়া সেখানে আসবে আর কেই বা তা লিজ নিতে এগিয়ে আসবে!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর