নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি অর্থবর্ষে দু’দফায় Gold Bond বিক্রি করার কথা ঘোষণা করেছিল Reserve Bank of India বা RBI। এর মধ্যে প্রথম দফার বন্ড বিক্রি হয়েছিল জুন মাসে। দ্বিতীয় দফার বিক্রি শুরু হবে আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে। ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেই বন্ড কেনার সুযোগ পাবেন সাধারণ ক্রেতারা। সোমবার থেকে যে গোল্ড বন্ড বাজারে আসছে, তার দর ঠিক হয়েছে India Bullion and Jewelers Association’র দেওয়া সোনার দাম অনুযায়ী। বন্ড কেনার আগের শেষ তিনটি কাজের দিনে সোনার যে দাম থাকে, তার গড় করেই সাধারণত দর ঘোষিত হবে। সেই বন্ড কিনতে যদি আপনি আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই কিছু তথ্য জেনে রাখুন যেগুলি না মানলে বা না জানলে আপনি সেই বন্ড নাও কিনতা পারেন।
RBI জানিয়েছে, গত ৬ থেকে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশুদ্ধ সোনার গড় দাম গ্রাম পিছু ছিল ৫ হাজার ৯২৩ টাকা। ন্যূনতম ওই দামেই কেনা যাবে Gold Bond। ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাঁরা সেই বন্ড কিনবেন, তাঁরা ৫০ টাকা ছাড় পাবেন। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে বন্ডের দাম হবে ৫ হাজার ৮৭৩ টাকা। যেকোনও বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক থেকে Gold Bond কেনা যেতে পারে। তবে গ্রামীণ ব্যাঙ্ক, Small Finance Bank এবং Payments Bank থেকে কেনা যাবে না। নির্দিষ্ট কয়েকটি পোস্ট অফিস থেকেও সরকারি Gold Bond কেনার সুযোগ মিলবে। এছাড়া Stock Holding Corporation of India Limited থেকেও কেনা যাবে Gold Bond। সেবি স্বীকৃত স্টক এক্সচেঞ্জ, যেমন Bombay Stock Exchange বা National Stock Exchange থেকে Gold Bond কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ। তবে এই বন্ড কিনতে PAN Card থাকা আবশ্যক। কোনও ট্রাস্ট বা ‘হিন্দু আনডিভাইডেড ফ্যামিলি’ও এই বন্ড কিনতে পারে।
জানা গিয়েছে, কমপক্ষে ১ গ্রাম Gold Bond কিনতে হবে এবং তা প্রতি গ্রাম সোনার গুণিতকে বাড়ানো যাবে। মোট টাকার ওপর বাৎসরিক ২.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাবে। সুদ মিলবে প্রতি ছ’মাস অন্তর। ৮ বছর পর মেয়াদ শেষে বন্ড ভাঙিয়ে টাকা নেওয়া যাবে। সেই সময় সোনার যে বাজারদর থাকবে, বন্ডের মেয়াদ শেষের শেষ তিনটি কাজের দিনে সেই দামের গড় করে, টাকা ফেরত দেওয়া হবে গ্রাহককে। একই সঙ্গে মাথায় রাখবেন, Gold Bond’র ক্ষেত্রে যে বাৎসরিক ২.৫ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়, তা আয়করযোগ্য। কিন্তু মেয়াদ শেষে সোনার দাম বাবদ যে থোক টাকা পাওয়া যায়, তা আয়কর আইনে ছাড়যোগ্য। একই সঙ্গে ঋণের ক্ষেত্রে Collateral বা সহায়ক হিসেবে ব্যবহার করা যাবে Gold Bond।