নিজস্ব প্রতিনিধি: কোচবিহার বিমানবন্দরকে গুরুত্ব দিয়ে বাণিজ্যিক বিমান পরিষেবা শুরু করতে চায় রাজ্য। তাই এই বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে নবান্ন। রাজ্যে কলকাতা বিমানবন্দর ও অন্ডাল ছাড়া বাকি বিমানবন্দর গুলি আয়তনে ও পরিসরে ছোট। বালুরঘাট, মালদা’র সঙ্গেই কোচবিহারের বিমানবন্দরে উড়ান পরিষেবা চালু করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিলেও কাজ হচ্ছে না। তাই জট কাটাতে হস্তক্ষেপ করছে নবান্ন। ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, ভিস্তারার মতো উড়ান সংস্থাগুলির সঙ্গে আগামী সপ্তাহেই আলোচনায় বসার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকদের। কোচবিহার থেকে ৯০ আসনবিশিষ্ট বিমান পরিষেবা শুরু করা যায় কি না, সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা হতে পারে আগামী সপ্তাহের বৈঠকে।
বিমান সংস্থা গুলির কী দাবি রয়েছে? সেই বিষয়ে আগে আলোচনা সারতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাদের দাবি অনুযায়ী সমস্ত কাজ শেষ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যদিও কোচবিহারের বিমানবন্দরের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। যা দ্রুত শেষ করতে চাইছে রাজ্য। নবান্নের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চলতি বছরের মধ্যেই যাতে কোচবিহারের বিমানবন্দরে বাণিজ্যিক পরিষেবা মেলে। তাতে অনেকটাই সুবিধা হবে রাজ্যের বাণিজ্যিক পরিবহনের ক্ষেত্রে। কিছুটা হলেও চাপমুক্ত হবে কলকাতা ও অন্ডাল বিমানবন্দর। কিছুদিন আগেই কয়েকটি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সেই তালিকায় ছিল কোচবিহারও। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকেই এই বিষয়টি নিয়ে একটি প্রাথমিক স্তরের আলোচনা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন উড়ান সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছে নবান্ন।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তরফে ইতিমধ্যেই কোচবিহার বিমানবন্দর পরিদর্শন করে গিয়েছেন আধিকারিকরা। ডিজিসিএ আধিকারিকদের বিমানবন্দর পরিদর্শন করার কথা। তারপরেই কোচবিহারের বিমানবন্দরে উড়ানের ক্ষেত্রে অনুমোদন পেলেই যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনা করবে রাজ্য।