আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিন বছর ধরেই জল্পনা চলছে, ভারতের বাজারে পা রাখতে চলেছে জনপ্রিয় বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টেসলা। কবে ভারতের বাজারে মিলবে টেসলার গাড়ি, তা নিয়ে মুখ খুললেন সংস্থার প্রধান ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার টুইটে তিনি জানিয়েছেন, ‘এখনও সরকারের সঙ্গে কঠিন চ্যালেঞ্জ লড়ে যাচ্ছি।’ টেসলা কর্ণধারের এমন মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সরাসরি না বললেও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক যে মোদি সরকারের নীতিকেই পরোক্ষে কাঠগড়ায় তুলেছেন, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
২০১৯ সালেই ভারতের বাজারে সংস্থার তৈরি গাড়ি বিপননের জন্য মোদি সরকারের কাছে ছাড়পত্রের জন্য আবেদন জানিয়েছিল বিশ্বের জনপ্রিয়তম বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা টেসলা। কিন্তু তিন বছর কেটে গেলেও এখনও ছাড়পত্র মেলেনি। বুধবারই মার্সিডিজ বেঞ্চ সংস্থার তরফে একটি ঘোষণায় জানানো হয়েছে শিগগিরি ভারতের বাজারে মিলবে তাদের ইলেকট্রিক গাড়ি সিদান। সুজুকি ও হুন্ডাইয়ের মতো সংস্থাও ভারতের গাড়ির বাজারে গত কয়েক বছর ধরে চুটিয়ে ব্যবসা করে চলেছে। তবে ফোর্ড সহ একাধিক সংস্থা আবার ব্যবসায় পাততাড়ি গুটিয়েছে।
কেন ভারতের বাজারে সংস্থার গাড়ি মিলছে না, সেই প্রশ্নের জবাবে গত মাসে এক টুইটে টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক মোদি সরকারকে পরোক্ষে নিশানা করে লিখেছিলেন, ‘ভারতে আমদানি শুল্ক বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ এবং দেশটি শুদ্ধ জ্বালানির গাড়িকে পেট্রোলচালিতগুলোর নজরেই দেখে, যা তাদের জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে মোটেও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ ইলন মাস্ক চাইছেন, টেসলার গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানো হোক। তাহলে কম দামে ভারতের বাজারে গাড়ি বাজারজাত করতে পারবেন। ভক্সওয়াগন ও হুন্ডাইয়ের মতো সংস্থা টেসলা কর্ণধারের দাবিকে সমর্থন জানালেও আমদানি শুল্ক ছাড়ে রাজি নয় মোদি সরকার।
কীভাবে ভারতীয় বাজারে গাড়ি বিপনন করবে, ভারতের মাটিতে কোথায় ওই গাড়ি তৈরি হবে, তা নিয়ে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে টেসলাকে বিস্তারিত পরিকল্পনা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত টেসলার পক্ষ থেকে ওই পরিকল্পনা জমা দেওয়া হয়নি।