নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দেশের বাজারে যাতে চিনির দাম বেলাগাম হয়ে না ওঠে তার জন্য এবার চিনি রফতানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারির পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। যদিও এ বিষয়ে দুই মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দেশের বাজারে গত এক সপ্তাহে চিনির দাম বেড়ে চলেছে। ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিদেশে চিনি রফতানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি ছাড়া বিকল্প কোনও পথ খোলা নেই।
গত ১৩ মে দেশীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার যুক্তি দিয়ে বিদেশে গম রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। আর ওই এক সিদ্ধান্ত গোটা বিশ্বে ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ ভারতের গম রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল। যদিও আন্তর্জাতিক চাপ থাকা সত্বেও গম রফতানির উপরে জারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি।
গমের পরে এবার চিনির ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে চাইছেন খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা। চিনি উৎপাদক হিসেবে বিশ্বে ভারতের স্থান দ্বিতীয়। শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল। মূলত বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও দুবাইতেই বেশি চিনি রফতানি হয় ভারত থেকে। চলতি বছরে বিদেশে চিনি রফতানির পরিমাণ এক কোটি টনে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথমে অবশ্য স্থানীয় চিনি উৎপাদনকারীদের ৮০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু উৎপাদন বাড়ায় পরে আরও ২০ লক্ষ মেট্রিক টন চিনি রফতানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।