নিজস্ব প্রতিনিধি: পণ্য পরিবহনের নতুন নতুন দিগন্ত খুলছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই ডেডিকেটেড ফ্রাইড করিডোরে ঘণ্টায় ১০০ কিমি গতিতে ছুটছে মালগাড়ি। অপরদিকে বাতিল যাত্রীবাহী ট্রেনের কামরায় অদলবদল করে মোটরবাইক ও ছোট চারচাকা গাড়ি দেশের এক জায়গা থেকে অন্য প্রান্তে দ্রুত পৌঁছে দিচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবার সম্পূর্ণ অন্য ধরনের ব্যবস্থা করল রেল। যাত্রীবাহী ট্রেনের এসি কামরায় পণ্য পরিবহণ করল ভারতীয় রেল। চালানো হল প্রথম এসি পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন। এসি কামরাগুলি থেকে যাত্রীদের বসার জন্য লাগানো আরামদায়ক আসন খুলে নেওয়া হয়েছে পণ্য পরিবহনের জন্য।
ব্যাপারটা ঠিক কি? রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, যে কোচগুলি যাত্রী চলাচলের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না, সেগুলিকে এমনি ফেলে না রেখে সরিয়ে নিয়ে কাজে লাগানোর জন্য পরীক্ষামূলকভাবে পণ্য পরিবহণ করা হল। এবং তা সম্পূর্ণ সফল হয়েছে। যে সব সামগ্রী দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়, অর্থাৎ যেগুলি পরিবহনের জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রণ যুক্ত গাড়ি প্রয়োজন সেই ধরণের সামগ্রী পাঠানো হল যাত্রীবাহী ট্রেনের এসি কামরায়। এতে দুটো লাভ হচ্ছে, এক খুব দ্রুত ওই পণ্য দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে, সড়কপথে পরিবহনের তুলনায় অনেক কম খরচে তা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে রেল। আবার বাতিল কামরাগুলিকেও কাজে লাগিয়ে আয়ের উৎস তৈরি করছে রেল।
সম্প্রতি ২০টি টু-টিয়ার এবং থ্রি-টিয়ার এসি কোচ নিয়ে দেশের প্রথম এসি পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন উত্তর রেলের ফিরোজপুর ডিভিশনের সানেওয়াল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম রেলের যশবন্তপুরে পাঠানো হল। তাতে ছিল, চকলেট, চকলেট তৈরির কাঁচামাল, ম্যাগি, চিজ, মাখন ও বিভিন্ন ধরণের সসের মতো সামগ্রী। যা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত গাড়িতেই পরিবহন করতে হয়। দেশের প্রথম এসি পার্সেল এক্সপ্রেসের ২০টি কামরায় ফলও পাঠানো হবে এবার থেকে। রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথম এসি পার্সেল এক্সপ্রেসে ১২১ টন সামগ্রী পাঠানো হল ব্যাঙ্গালুরুর কাছে যশবন্তপুর স্টেশনে। রেলের দাবি, পরবর্তী সময়ে এই ধরণের এসি পার্সেল এক্সপ্রেস আরও চালানো হবে।